তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি ->>
শীতে কাঁপছে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর উপজেলার হাওর পাড়ের মানুষ,গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি ঘন কুয়াশায়,প্রচন্ড শীতে অতিষ্ঠ শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো।
আজ ৪ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গুঁড়িগুঁড়ি ও ভারি বৃষ্টি হয়েছে, বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা মেলেনি।হালকা বাতাস আর থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। শীতের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
শীতল হাওয়ার সঙ্গে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে শীতের প্রকোপ আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে।এতে সর্দি জ্বর মাতা ব্যাথাসহ ঠান্ডা জনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে বহু মানুষ।
শীতের মধ্যে বৃষ্টি রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার পর শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে। শীতের মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে তাহিরপুর হাওরাঞ্চলের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিন্ম আয়ের শ্রমিক,জেলে সহ খেটে খাওয়া মানুষরা বলছেন,হাড় কাঁপুনি শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।শীত ও বৃষ্টির মধ্যে অনেক দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ বাড়ি থেকে হয়ে কাজে যেতে পারেনি।কাজ করতে না পারায় নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে।
জীবিকার সন্ধানে ঘর হতে বের হওয়া কিছু সংখ্যক দিনমজুর সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে গরম কাপরে। তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকেই হালকা কাপড় পরিধান করে গৃহে বসে আগুনের তাপে শীত নিবারন করছে।
উপজেলার হাওর পাড়ের শ্রমজীবী নিন্ম আয়ের দরিদ্র পরিবারের অনেকেই জানান,এভাবে শীত থাকলে আমরা ঠান্ডায় নয় না খেয়ে মারা যাবো।
উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ওয়াচ-টাওয়ার সংলগ্ন চা বিক্রেতা সুরত জামাল বলেন,সকাল বেলা ঠান্ডার কারণে দোকানেই আসা যায় না। আবার আসলে দোকানে বসে থাকা যায় না শীতের জন্য ক্রেতা শুন্য হয়ে থাকে।
বাড়িতে অনেকেই খড়কুটো কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তবে আজ সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সূর্যের দেখা মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :