সোহানুর রহমান সোহাগ ->>
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় বন্যার পানি কমার পর শুরু হয়েছে নদী ভাঙন । এই উপজেলার প্রায় সকল ইউনিয়নেই দেখা দিয়েছে কম বেশি নদী ভাঙন যার মধ্যে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন অন্যতম । এছাড়া উপজেলার ফজলুপুর, উড়িয়া ও ফুলছড়ি ইউনিয়নেও দেখা দিয়েছে ভাঙন। তবে বন্যায় বেশি ক্ষতি হয় এরেন্ডাবাড়ির খেটে খাওয়া মানুষের। এই ইউনিয়নে কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন পানি বন্দি শত শত মানুষ। ছোট ছোট সন্তান বৃদ্ধ লোকজন ও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আবাদি ফসলের যার মধ্যে রয়েছে পাট, ধান ও নামলা জাতের ভুট্রা। ভাঙনের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকার বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
এই ইউনিয়নের জিগাবাড়িতে গত দুই বছর আগে নদী ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফালানো হয় পরে অবশ্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জিগাবাড়ি অঞ্চলে ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, জিগাবাড়ি হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাফেজি মাদ্রাসা সহ জিগাবাড়ি বাজার।
এছাড়া এই ইউনিয়নের হরিচন্ডিতেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙন। সেখানেও হুমকির মুখে কমিউনিটি ক্লিনিক, হাইস্কুল সহ মাদ্রাসা। জিগাবাড়ি ও হরিচন্ডির স্থানীয় বাসিন্দারা নদী ভাঙন থেকে দ্রুত রক্ষার দাবি জানান। তারা বলেন পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গা শুরু হয় খোজ নেয়ার কেউ নাই। এতো পানি এখনো কেউ কোনো সাহায্য সহযোগিতাও করে নাই।
এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান আকন্দের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নদী ভাঙন ও জরুরী ত্রান সেবা চেয়ে জেলা, উপজেলায় আমার কথা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকশো পরিবার কে জিআর এর ১০ কেজি করে চাল দিয়েছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে বানভাসি মানুষদের আরো ত্রান সুবিধা দিতে পারবো। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তা ও ডিসি স্যারের সাথে কথা বলে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করবো।
আপনার মতামত লিখুন :