স্পোর্টস ডেস্ক ->>
নতুন বছরে তিনি মাঠেই নেমেছেন এর আগে দুবার। চোট আর করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই শেষে ফিরেছিলেন লিগে রেঁসের বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন বদলি নেমে খেলেছিলেন মাত্র ২৭ মিনিট, কোনো গোল করতে বা করাতে পারেননি।
এর সপ্তাহখানেক পর ফরাসি কাপে নিসের বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলেছেন, এবারও তাঁর পায়ে কোনো গোল নেই। গোল করাতেও পারেননি। গোলশূন্য ম্যাচটি টাইব্রেকারে হেরে পিএসজি বাদ পড়ল ফরাসি কাপের শেষ ষোলোতে।
এরপর আজ আবার পিএসজির জার্সিতে শুরু থেকে নেমেছেন লিওনেল মেসি। লিলের মাঠে লিগের ম্যাচে পিএসজির জন্য বাড়তি প্রেরণা ছিল কাপের দুঃখ ভোলানো। এবার মেসি গোল পেলেন, পিএসজিও কাপ থেকে বিদায়ের শোক কিছুটা কাটাল।
২০২২ সালে মেসির প্রথম গোলের ম্যাচে পিএসজি ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গত মৌসুমের ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়ন লিলকে। গোল পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পেও। পিএসজির অন্য তিন গোলের মধ্যে দুটি করেছেন দানিলো, অন্যটি কিমপেম্বে।
পিএসজির এত দাপুটে জয়ে অবশ্য অনেক বড় অবদান লিল গোলকিপার ইভো গরবিচেরও। ১০ মিনিটে একটা ক্রস তাঁর মাখনমাখা হাত গলে পড়ে যায়, আলতো টোকায় পিএসজিকে এগিয়ে দেন দানিলো।
লিল অবশ্য সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি। এই জানুয়ারির দলবদলের শেষের দিকেই লিলে যোগ দেওয়া হাতেম বেন আরফা-র দারুণ পায়ের কাজের পর বাড়ানো পাস থেকে গোল করেন সভেন বটমান।
কিন্তু গোল তো করেননি, যেন মৌচাকে ঢিল মেরেছেন! পিএসজি জবাব দিল দশ মিনিটে দুই গোল করে। দুটি গোলই অবশ্য লিলের ভাঙা রক্ষণের দায়!
৩২ মিনিটে মেসির কর্নার কেউ ফেরাতে পারলেন না, বল পড়ল লিল পোস্টের সামনেই দাঁড়ানো কিমপেম্বের পায়ে। সেখান থেকে গোল করতে চোখ খোলা রাখারও দরকার ছিল না পিএসজির ফরাসি সেন্টারব্যাকের!
৬ মিনিট পর এল মেসি-ঝলক। লিল বক্সের সামনে লিলের ডিফেন্ডারদের ভুলেই হঠাত বল পেয়ে যান মেসি। পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে! বল নিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলকিপারের ওপর দিয়ে আলতো চিপে বল জালে জড়িয়ে দিলেন ৩৪ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন। ফরাসি লিগে ১৩ ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল।
লিগে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত পিএসজির পয়েন্ট এই জয়ের পর দাঁড়াল ২৩ ম্যাচে ৫৬। দুইয়ে থাকা মার্শেই ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :