ArabicBengaliEnglishHindi

ট্রেড লাইসেন্সের ফি জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০২২, ১১:৪১ অপরাহ্ন / ২৩৮
ট্রেড লাইসেন্সের ফি জানতে চাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক  ->>

রাজধানীর মিরপুরে ট্রেড লাইসেন্সের ফি জানতে চাওয়ায় সাদ্দাম হোসেন মুন্না ও আনিছ মাহমুদ লিমন নামে দুই সেবা প্রার্থীদের উপর হামলা চালায় ডিএনসিসির শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরে এ ঘটনা ঘটে। শ্রমিক কর্মচারী লীগের নেতার নাম মাহমুদুল রোকন। তিনি ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারভাইজার পদে কর্মরত। এ ঘটনায় সেবাপ্রার্থী মুন্না ডিএনসিসি অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে মুন্না উল্লেখ করেন, আমি মোঃ সাদ্দাম হোসেন মুন্না ও আনিছ মাহমুদ লিমন, আমি ২৯/০৩/২০২২ তারিখে আনুমানিক সকাল ১১ঃ৪৫ মিনিটে মিরপুর ১০ নম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-০৪ এর ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারভাইজার রোকনের কক্ষে যাই। তার কাছে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন ট্রেড লাইসেন্সের ফির ব্যাপারে জানতে চাই। সে আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য মোট ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা তাকে বলি ট্রেড লাইসেন্স করতে এত টাকা কেন লাগে। লাইসেন্সের সরকারি নির্ধারিত ব্যাংক জমা কত টাকা। এই কথা শুনে তিনি ক্ষিপ্ত হন এবং আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন ও তার রুম থেকে আমাদের বাহির হয়ে যেতে বলেন ।

এসময় আমরা নিজেদের সংবাদকর্মী পরিচয় দিই। এ কথা শুনে সে তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। সে আমাদের ওপর আরও বেশি চড়াও হয়। আর সাংবাদিক পেশা নিয়ে অপমানজনক কথা বলেন। এক পর্যায়ে আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে তার রুম থেকে বের করে দেন। তিনি আরো বলেন মেজবাউল হক সাচ্চু ভাই আমাদের প্রেসক্লাব খুলে দিয়েছেন সন্ধ্যার পরে সেখানে বসে আড্ডা মারার জন্য তুই যদি পারিস আমাদের কিছু করিস, আমি কাফরুল ও ইব্রাহিমপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তোদের মতো অনেক সাংবাদিক আমার পকেটে থাকে। আমরা তার কক্ষ থেকে বের হলে সে তার ইউনিয়নের কর্মীদের ডেকে আমাদের অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে। এরপর মেইন গেট বন্ধ করে আমাদের চড় থাপ্পড় কিল ঘুষি মারে।

মুন্না বলেন, আমাদের অফিসে আটকিয়ে রোকনের লোকজন মারধর করে ও মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলে। অফিসের সিসিক্যামরা দেখলেই তার প্রমাণ মিলবে। আমার পকেট থেকে ৩০,৮৮৫ টাকাও নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।

এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রমিক লীগ নেতা রোকন বেশ উত্তেজিত হয়ে সেবাপ্রার্থী মুন্না ও লিমনকে ধমক দিয়ে তার অফিস থেকে বের করে দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে মাহমুদুল রোকন বলেন, সাংবাদিক পরিচয়ে ওরা আমার কাছে চাঁদা চাইতে এসেছিল। কত সাংবাদিক এসে চাঁদা চায়। কতজনকে দেব। হামলার অভিযোগ সত্য নয়। ভাই আপনি আসুন সরাসরি কথা বলব। ডিএনসিসি অঞ্চল -৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীকে বলেছি মেয়রসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাতে।