সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি->>
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কড়ই গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা জহুরা আসমা’র বিরুদ্ধে। গত বহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারী) বিদ্যালয় প্রাঙ্গনের পশ্চিম পাশের গাছটি ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন, যার আনুমানিক বাজার মুল্য ১০ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে পরিচালনা কমিটির রেজ্যুলশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে গাছ বিক্রি করেছেন।
রোববার ১৬ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তথ্য জানত গেলে বিদ্যালয়ের ভীতরে বসা থাকা একটি সংঘবদ্ধ দল সাংবাদিকদের হুমকী দেয়। হুমকীর বিষয়ে বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় জিডি করেছেন সাংবাদিক মেহদী সুমন।
সরোজমিনে বিষয়টি জানতে গেলে, সাংবাদিকদের উপড়ে চড়াও হয় কোলা গ্রামের সিদ্দিক মিজির ছেলে মহসিন ও তার সাথে থাকা কয়েকজন যুবক। সে সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বসা ছিলন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু, মহিলা ইউপি সদস্য রওশন আরা ও ওয়ার্ড মেম্বার সুজনসহ বেশ কয়েকজন। তাদের সামনে মহসিন বলেন, কোলা ইউনিয়ন সাংবাদিক প্রবেশ করতে হলে চেয়ারম্যান ও তাদের নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে, অনুমতি না নিয়ে প্রবেশ করলে হাত-পা ভেঙ্গে ফেলবে।
বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানীয়রা জানায়, কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বের গাছটি অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতি বছর বিদ্যালয়ের স্লিপের ও সরকারি বিভিন্ন টাকা আসলে প্রয়োজনিয় খাতে ব্যবহার করেন না। বিদ্যালয়ের একটি পুকুরের মাছ বিক্রি ও ৬টি দোকান ভাড়ার টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা করেননি।
আরো জানা যায়, কিছু দিন আগে বিদ্যালয়র আরো একটি গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ের জন্য সরকার থেকে একটি ল্যাপটব দেয়া হয়ছিল সেই ল্যাপটবটিও বিদ্যালয় নাই।
প্রধান শিক্ষিকা জহুরা আসমা বলেন, আমি শিক্ষা অফিস দরখাস্ত দিয়েছি, অনুমতি পেয়েই কেটেছি। এগুলো সব মিথ্যা আমি কোন অনিয়ম করি নাই।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু জানান, কোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের সাথে মারামারির ঘটনা ঘটেছে এবং গাছ কাটার বিষয় নিয়ে আমরা বসা ছিলাম। আমি নিবার্চিত হওয়ার পর, এখনো শপথ হয় নাই, তাই শপথের পর বিষয়টি মিমাংশা ও ব্যবস্থা নিবো। সাংবাদিকদের সাথে মহসিন কথা কাটাকাটি করেছে আমরা তাকে ধমক দিয়েছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলায়ত হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত করেছে। আমরা এখনো অনুমতি দেই নাই, কারণ প্রাথমিক ভাবে বিদ্যালয়র কমিটি রেজুলশন করব এরপর দরখাস্ত করবে। গাছ যদি কেটে থাকে তাহেল বিষয়টি আমি দেখবো।
আপনার মতামত লিখুন :