আশরাফুল আলম, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ->>
দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজে গরু আক্রান্ত হলে আতংকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই এবংযেখানে সেখানে চিকিৎসা না করায়ে
সোজা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ সম্পর্কে ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ নেয়ামত আলী বলেন লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) একটি ভাইরাসঘটিত রোগ যা মূলত গৃহপালিত গরু এবং মহিষকে আক্রান্ত করে। প্রাণীর গায়ে ফোসকা দেখে প্রাথমিকভাবে এই রোগ শনাক্ত করা হয়। লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়লে গরু পালনের সাথে জড়িত সকলে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে প্রান্তিক খামারিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই রোগের ফলশ্রুতিতে গরু থেকে মাংস উৎপাদন এবং দুধ উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসেবে আসে গর্ভপাত এবং অনুর্বরতার মতো বিষয়গুলো।
লাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়ানোর প্রধান কারণ হতে পারে এক খামার থেকে অন্য খামারে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে এমন কি এক দেশ থেকে অন্য দেশে গরু নিয়ে যাওয়া। মূলত এই গরু স্থানান্তরের মাধ্যমে অনেকদূর পর্যন্ত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর মশা, মাছির মাধ্যমে কাছাকাছি স্থানগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূলত যে মশা, মাছিগুলো পোষকের দেহ থেকে রক্ত পান করে তারাই এ রোগের জীবাণু বহন করে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম তার বক্তব্যে জানান আমাদের দেশে ২০১৯ সালে প্রথম ধরা পড়ে এ রোগটি এবং এখন পর্যন্ত এ রোগের প্রতিশোধন না থাকায় আমদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য আক্রান্ত গরুটিকে পৃথক রাখতে হবে, মশারির ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। লাম্পি স্কিন রোগ হলে গরুকে গোসল ও পানিতে ভেজানো যাবেনা এবং ২/৩ দিন অপেক্ষা করার পর ভালো না হলে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :