ArabicBengaliEnglishHindi

লাঠি নিয়ে নামলে ‘খবর আছে’: ওবায়দুল কাদের


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ৮:২৭ অপরাহ্ন / ৭০
লাঠি নিয়ে নামলে ‘খবর আছে’: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে লাঠিসোটা এবং লাঠির মাথায় জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামলে ‘খবর আছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলমুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধশালী হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বিশ্বব্যাংককে আঙুল উঁচিয়ে বলেছিলেন, তুমি টাকা না দিলেও নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। সেটা করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কালনায় মধুমতি সেতু উদ্বোধন করা হবে। তখন নড়াইল, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মানুষ পদ্মা সেতুর আরও কাছাকাছি হয়ে যাবে।

বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন যে সংকট চলছে সেটা বাংলাদেশের নয়; বিশ্ব সংকট। এজন্য আমাদের মত ছোট ছোট দেশকে মূল্য দিতে হচ্ছে। এই সংকট সারাবিশ্বে চলছে।

‘জ্বালানি থেকে শুরু করে সবকিছুর সংকট চলছে। এজন্য সাময়িক বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। তারপরও শেখ হাসিনা চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমস্যা সমাধানের। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি মত খাম্বা দেয়নি।’

বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোমর ভাঙা, হাঁটু ভাঙা বিএনপি এখন ভর করেছে লাঠির ওপরে। লাঠির দিন চলে গিয়েছিল, এখন আবার ফিরিয়ে আনছে বিএনপি। বিএনপির আবাসিক নেতা রিজভী মিথ্যাচার করছে। যারা মিথ্যাচার করে তাদের কড়া জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় পতাকার সঙ্গে লাঠি লাগিয়ে সামনের দিকে রাস্তায় নামেন, তাহলে খবর আছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, সামনে খবর আছে; লাঠি খেলা চলবে না। আন্দোলন করেন যত পারেন কিন্তু লাঠি খেলা চলবে না। আগুন নিয়ে খেলা, অগ্নিসন্ত্রাস চলবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথ কাউকে ইজারা দেয়নি। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে। আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করবে। জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে রাজপথেই তা প্রমাণ হবে। রাজপথ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়।

তিনি বলেন, গত নির্বাচনের আগেও বিএনপি দল গঠন করেছিল। কিছুই করতে পারেনি। এবারও ২২ দলীয় দল করছে। এ দল গঠন করে কোনও লাভ হবে না। এই দলও জগাখিচুড়ি হবে, দেখার অপেক্ষায় আছি।

হাজারীবাগ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিএনপি, এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করছে। তারা আন্দোলনের নামে সংঘাতের জন্য উস্কানি দিচ্ছে। তারা সংঘাত চায়। আওয়ামী লীগ কখনও সংঘাত চায় না। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা করলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জবাব দেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ী হবে। আবারও এই বাংলায় গণতন্ত্রের বিজয়ী হবে। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন অর্জনের বিজয়ী হবে। কোনও সন্ত্রাসী দলের নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও বিজয়ের বন্দরে পৌঁছবে। জনগণ আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।

ভোটে পরাজিত করতে পারবে না বলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে তিন বলেন, মোকাবিলা হবে। খেলা হবে খেলা। এজন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মানুষ কাকে চায় আগামী নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে যাবে। শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন, অবশ্যই তার প্রতিদান পাবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের দক্ষতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে। এর সুফল দেশের মানুষের ভোগ করছে জানিয়ে কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় গত নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটা সম্পূর্ণ করেছেন। এর সুফল দেশের মানুষ ভোগ করছে। এবার তার লক্ষ্য ভিন্ন। তিনি স্মার্ট বাংলা নির্মাণ করবেন। সেই লক্ষ্য কাজ করে চলেছেন, শেখ হাসিনা তা তুলে ধরছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।