নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
পর্যাপ্ত উৎপাদনের পরও শীতের এই ভরা মৌসুমে সবজির দাম এত বেশি কেন- এমন প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই সময় সবজির দাম কেন এত, একটা লাউ, একটা ফুলকপির দাম এত বেশি কেন? উৎপাদন তো কম হয়নি, এমন না যে, আবহাওয়া খারাপ ছিল। অবশ্য প্রথম দিকে সবজি লাগানোর পরে বৃষ্টির কারণে তা নষ্ট হয়েছে, এটাও বিবেচনায় নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (আইএফএডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হ্যামলার্সের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
উৎপাদন ও মজুত পর্যাপ্ত হওয়ার পরও চাল, সবজিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেশি, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হলো উৎপাদন বাড়ানো। আমি মনে করি, না ফুলকপির উৎপাদন কম হয়েছে। সারা পৃথিবীতে করোনার কারণে একটু মূল্যস্ফীতি হয়েছে। কন্টেইনার ভাড়া আগে যেটা ছিল, তার চেয়ে বেড়েছে। এখানে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির ওপর বিরাট একটা প্রভাব পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সারে আমরা সাবসিডি দিচ্ছি। কিন্তু কত দিচ্ছি? আগে যেটা ৯ হাজার কোটি ছিল, এখন সেটা দিতে হবে ২৮ হাজার কোটি টাকা। গম, আড়াইশো ডলারের বেশি কোনোদিনও প্রতি টনের দাম ছিল না, এটা এখন সাড়ে চারশো ডলার। সার্বিকভাবে শিপিং কস্ট বা অন্য পণ্যের দাম যদি কমে না আসে কৃষিপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। এ বছর কিন্তু পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে। আলুর দাম বেশ কম। কিন্তু শাক-সবজি দাম…মানুষের মুদ্রাস্ফীতির একটি প্রভাব আছে। এ কারণেই সব কিছুর দাম বাড়ার প্রভাব কৃষিপণ্যের উপরেও পড়েছে। চাষিরা যদিও খুশি, বেশি দামে বিক্রি করে।
আপনার মতামত লিখুন :