এনামুল হক শামীম ->>
জমির মালিক ও এলাকার নিরিহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ভূমিদস্যু ফালুর বিরুদ্ধে।
সরজমিনে তথ্য সংগ্রহে গিয়ে জানা যায় যে, কিশোরগঞ্জের মৃত ইসমত উদ্দিনের ছেলে পরিবহন ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন ১৯৮৪ সালে সাভার থানাধীন তালবাগের দক্ষিণ দরিয়াপুর মৌজায় (উপজেলার পিছন গেটে) তিন শতাংশ জমি ক্রয়করে, যার সি এস ও এস এ দাগ নং ২১৭, আর এস দাগ নং ৩৮৩। ১৯৮৬ সালে হাউজ লোন করে বাড়ি তৈরি করেন। এরপরে জীবন-জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমায় প্রবাসে। সেই সুযোগে জিয়াউদ্দিনের বাড়ির জমির ভুয়া দলিল পত্র করে এবং বাড়ি ভেঙেসব কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং নিজেদের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে বাড়ির জমি দখল করে রাখে মৃতঃ লাল মিয়ার ছেলে ভূমিদস্যু ফালু ও হেলাল, সহযোগী লাথু মিয়ার ছেলে তমিজ।
এই ঘটনা জানতে পেয়ে বাড়ির প্রকৃত মালিক বিভিন্ন মহলে জানালেও কোন সমাধান না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। পরে তিনি দেশে ফিরে ভূমিদস্যুদের নামে সাভার মডেল থানায় পর পর দুটি অভিযোগ কারেন এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক তদন্ত ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের শালিসির মাধ্যমে জমির প্রকৃত মালিক জিয়াউদ্দিন জমি ফিরে পান। এরপর জিয়াউদ্দিন ঐ এলাকার স্থানীয় আলমগীর হোসেনের কাছে তার জমিটি বিক্রি করে।
এসময় ক্রয়কৃত আলমগীর হোসেন তার জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে কাজ করতে গেলে ফের ঐ ভূমিদস্যু ফালু গং কাজে বাধাদেয় এবং ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এতে জমির প্রকৃত মালিক ও এলাকাবাসি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরে।
শুধু কাজে বাঁধা দিয়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ক্ষান্ত হয় নাই ভূমিদস্যু ফালু গং। পরে জমির প্রকৃত মালিক জিয়াউদ্দিন ও আলমগীর হোসেন সহ নিরিহ এলাকারবাসির নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এতে নিরীহ ও আতংকিত এলাকাবাসি ভূমিদস্যু ফালু সহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :