নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই দশকেরও বেশি সময় (২১ বছর) পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (২৮ আগস্ট) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী।
এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
আলোচিত এই হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
গত ২২ আগস্ট তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই দিন মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাই মামলাটি দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর প্রার্থনা করেন তারা। গত ২৪ আগস্ট সেই আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ২৮ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে মামলার বাদীকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নীচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
ওই বছরই এক আসামি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে হাইকোর্টের আদেশে মামলার বিচারকাজ স্থগিত ছিল। ২০১৫ সালে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। তারও সাত বছর পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নথি বিচারিক আদালতে ফেরত আসলে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেন বিচারিক আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :