ArabicBengaliEnglishHindi

সরিষা গাছের সজ্জিত সমারোহে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের বুনন করছে


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৮, ২০২২, ১:১০ পূর্বাহ্ন / ৭০০
সরিষা গাছের সজ্জিত সমারোহে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের বুনন করছে

স্টাফ রিপোর্টার->>

রাজশাহী বিভাগে অন্তগত শষ্য ভান্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর জেলা নওগাঁ। নানান ফসল উৎপাদনের জন্য যেন এক যাদুর উপনিবেশ এ জেলার মাটি। ইতমধ্যে চাল ও আমের রাজধানী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেতে সক্ষম হয়েছে এ জেলা।পাশাপাশি নানান ফসল উৎপাদনে প্রথমেই অবস্থান করে এ জেলার সুনাম।

আর বর্তমান চিত্রে লক্ষণীয়, সরিষার হলুদ ফুলের সৌন্দর্যে জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ। যত দূর চোখ যায়, কেবল হলুদ আর হলুদ। সরিষা গাছের সজ্জিত সমারোহে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের বুনন করছে। আর প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩শ কোটি টাকার সরিষা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে কৃষি বিভাগ সূত্রে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় ৩২ হাজার একশ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩৩ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৩২০ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। যেখানে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮২৫ হেক্টর, রানীনগরে ২ হাজার ৮০৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ১ হাজার ৭৩০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৯৩৫ হেক্টর, মহাদেবপুরে ১ হাজার ৫০৫ হেক্টর, পতœীতলায় ৫ হাজার ৩০ হেক্টর, ধামইরহাটে ১ হাজার ৯৬০ হেক্টর, সাপাহারে ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর, পোরশায় ৩ হাজার ৬৭০ হেক্টর, মান্দায় ৪ হাজার ৪১০ হেক্টর এবং নিয়ামতপুরে ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এতে বারি-৯, বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৬, বারি-১৭, বিনা-৪, বিনা-৯, টরি-৭ এবং সম্পদ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়াতে জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের ৫ হাজার কৃষকের মাঝে প্রত্যেককে ১ কেজি উন্নত জাতের সরিষা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) ও ১০ কেজি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

জেলার মান্দা উপজেলার সতিহাট, রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহণী হাট ও আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ নতুন সরিষা ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় এবং সদ্য শুকনা সরিষা প্রতি মণ ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি সরিষার তেল পাইকারী ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চুনিয়াগাড়ী গ্রামের কৃষক আশিক আরমান শাওন বলেন, ‘গত বছর দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও ১৫ জাতের সরিষা আবাদ করে ১১ মণ সরিষা পেয়েছিলাম। শুকনা সরিষা ২ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছিল। তাই এ বছর ২ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। সরিষার জমি প্রস্তুত ও আনুষঙ্গিক প্রায় সাড়ে ৫

হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার আবাদও ভালো হয়েছে। আশা করছি এখান থেকে কমপক্ষে ১৬ মণ সরিষা পাব। যেহেতু এ বছর সরিষার বাজার শুরু থেকেই বেশি তাই এ বছর সরিষা আরও বেশি দামে বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।

সাপাহার উপজেলার আশড়ন্দ গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর ১ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করলেও এ বছর ভালো দাম পাওয়ার আশায় দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার সার ও বীজ পাওয়ায় সরিষা আবাদে খরচ অনেকটাই কম হয়েছে তার। গত বছর ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ দরে শুকনা সরিষা বিক্রি করেছিলেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কমপক্ষে ১২ মণ ফলন পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। মান্দা উপজেলার কৈইকুড়ি গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বলেন, ‘এ বছর বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই