ArabicBengaliEnglishHindi

আনসার ভিডিপি অফিসে চলছে, নাম দেয়া নিয়ে অর্থ বানিজ্যের খেলা


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৩০, ২০২২, ৪:৩২ অপরাহ্ন / ৩৩
আনসার ভিডিপি অফিসে চলছে, নাম দেয়া নিয়ে অর্থ বানিজ্যের খেলা
চিলমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ->>
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলা আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের নামের জন্য অর্থ হাতানোর অভিযোগ উঠেছে। আইন-শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তার কাজের জন্য আনসার সদস্যকে অঙ্গীভুত করতে সদস্য হতে হলে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে নাম লেখাতে হয় বলে জানিয়েছেন, নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে। আর ও নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন কমান্ডার বলেন, নামের বিনিময়ে টাকা উত্তোলন করে (প্রশিক্ষিকা) সাজেদা খাতুনকে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা নেয়ার কথা অস্বিকার করেন এই কর্তকর্তা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যদি ও এবারে ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শে জানুয়ারী। এখানে দীর্ঘ দিন থেকে আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার পদটি শূন্য। অফিসের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোছাঃ সাজেদা খাতুন নামের একজন প্রশিক্ষিকা। যদি ও নুরুজ্জামান শাহিন নামের একজন প্রশিক্ষক আছেন।
প্রতি ইউনিয়নে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা লিডার ছাড়া ও কমান্ডার ও সহকারী কমান্ডার আছেন। তাদের অধিনে আছে কিছু পিসি-এপিসি ও সাধারণ সদস্য। নির্বাচন আসলেই এই কর্মকর্তাসহ কিছু ইউনিয়ন লিডার, কমান্ডার এবং পিসি-এপিসি  সদস্যরা যেন আলাউদ্দীনের চেরাগ হাতে পেয়ে যায়। আনসার ভিডিপির সদস্য নেওয়ার নামে শুরু হয় টাকা তোলার আনন্দের খেলা। তবে টাকা তোলার সময় ৫০০ থেকে ৭০০ বা তার অধিক টাকা নিলে ও তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়, তবে টাকার বিষয়ে যেন কোন স্বীকারোক্তী না দেওয়ার হয় বলে জানান।
আর এসব টাকা নিয়োগের আগেই জমা দিয়েই তালিকায় স্থান পেতে হয়। এবং নামে মাত্র বাছাই পর্ব শেষ করা হয়। আর নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকে তথ্য দিলে ও ডিউটি ও ভাতার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কিছু না করার শর্ত আরোপ করেন। ইতি মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োগ বাছাই পর্ব। এ নির্বাচনে ও পর পায়নি নির্বাচনে নিয়োগপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপির সদস্যরা। এদের অধিকাংশের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা করে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আনছার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশিক্ষিকা মোছাঃ সাজেদা খাতুনের বিরুদ্ধে। এছাড়া উক্ত দুর্নীতির সঙ্গে প্রভাবশালী ইউনিয়ন দলনেতা ও কিছু আনসার-ভিডিপির সদস্য জড়িত আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘুষ দিলে নিয়োগ পাবে, আর না দিলে বা এই বিষয়ে মুখ খুললে সে বাতিল হবে এসব হুমকিতে চলে ঘুষ বানিজ্যের খেলা।
কিছু নাম দেওয়া আনসার সদস্যরা বলেন, টাকা ছাড়া কোন ডিউটির নাম হবে না। প্রতিবাদ করলে ও হুমকিসহ বাদ পড়ছে সে তার ডিউটি থেকে। উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫টি ইউনিয়নের ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পিসি, একজন এপিসি, ৮ জন পুরুষ, ৭জন নারীসহ ১৭ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এ ব্যাপারে দলনেতাদের সাথে কথা হলে একাধিক দলনেতা টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা অসহায় টাকা উত্তোলন করে না দিলে ম্যাডাম আর স্যার দল নিতে চায়না।
এ সময় তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা তো জানেন পেটের দায়ে চাকুরী করি আমরা। তবে টাকা উত্তোলন ও নেয়ার কথা অস্বিকার করে উপজেলার (আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ভারঃ) প্রশিক্ষিকা মোঃ সাজেদা খাতুন বলেন, বাছাই পর্ব শেষ করেছেন জেলা কর্মকর্তারা আমাদের এখানে হাত নেই।
জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে, বলে তিনি জানান।