ArabicBengaliEnglishHindi

মানুষ এখন খেতে পারে না, তবে অত্যাচারের ভয়ে কথা বলে না : মির্জা ফখরুল


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৭, ২০২৩, ৭:২৫ অপরাহ্ন / ৩১৮
মানুষ এখন খেতে পারে না, তবে অত্যাচারের ভয়ে কথা বলে না : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
মানুষ এখন খেতে না পারলেও অত্যাচারের ভয়ে কথা বলে না বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এখনও সময় আছে, শান্তিতে বিদায় নেন, না হয় জনগণ টেনে-হিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাবে। তিনি বলেন, ‘দেশটাকে জনগণ ইজারা দেয়নি। আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। সময় থাকতে না ছাড়লে জনগণের প্রবল আন্দোলনে আপনি ক্ষমতাচ্যুত হবেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা সব সময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা। তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম আগের দিন রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে, তাও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনের আমরা যায়নি।

ফখরুল বলেন, ‘আবারও শেখ হাসিনা একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চায়। সেলক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছ। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করতে এখন রাজপথমুখী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার শুধুমাত্র দেশের জনগণ নয়, গোটা পশ্চিমাবিশ্ব এখন শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলছে, এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।

দেশের সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিমাসে রিজার্ভ কমছে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমছে। ঠিকমতো শ্রমিকদের ব্যবসায়ীরা বেতন দিতে পারছে না। মানুষ ঠিক মতো খেতে পারে না। কিন্তু, অত্যাচারের ভয়ে কেউ কথা বলেন না। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেক হয়েছে এবার যাও-এমন স্লেগান তরুণদের কণ্ঠে জোরালভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে তাকে জনগণের প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। তার একটি নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেই ভোটে অংশ নেবে বিএনপি। এদের অধীনে কোন ভোটে যাবে না বিএনপি ও সমমনারা।’

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম, গণফোরামে নেতা সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।