ArabicBengaliEnglishHindi

ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নেতৃত্বে নহামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ,আহত-১


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২৭, ২০২২, ১২:০২ অপরাহ্ন / ১৪৮
ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নেতৃত্বে নহামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ,আহত-১

 

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাইয়ের নেতৃত্বে রেন্ট এ কার ষ্টেশনে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা ওই ষ্টেশনে থাকা ৪টি প্রাইভেটকার ও বেশ কয়েকটি অটোরিকশা ভাংচুর করে।

এসময় তাদের হামলায় এক পথচারী নারী আহত হয়েছেন। বুধবার(২৬অক্টোর) দুপুরে উপজেলার মৌচাক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী চালক ও রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় বুধবার দুপুরে এ হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই মৌচাক ষ্টেশন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফুটপাতের ওপর অবৈধভাবে রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী অফিস করে একটি চক্র। পরে প্রতিদিন তারা ওই মহাসড়কের ওপর অবৈধভাবে প্রাইভেটকার পার্কিং রেখে তাদের রেন্ট এ কার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

বুধবার দুপুরে হঠাৎ করেই মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে সেখানে হামলা করে। হামলা চালিয়ে তারা সেখানে পার্কিংয়ে থাকা ৪টি প্রাইভেটকার ভাংচুর করে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি অটোরিকশাও ভাংচুর করে হামলাকারীরা। তাদের হামলায় আর্জিনা নেছা নামে এক পথচারী নারী আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, এ হামলা ও ভাংচুরের মিমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন হামলাকারী ইমরানের ভাই মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী চালকরা।

মৌচাক বাজার ও মৌচাক রেন্টেকার সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ জানান, চেয়ারম্যানের ভাইসহ কয়েকজন কেন এ হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে? তা এখনো জানা যায়নি। তবে মহাসড়কে অবৈধ রেন্ট এ কার অফিস ও গাড়ি পাকিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, সবাই রাখে, তাই আমরাও রাখি। কিন্তু বেশি সময় এখানে গাড়ি থাকে না।

অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জানান, সেখানে আমার এক ভাইয়ের মোটরসাইকেলের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে একটু রাগারাগি করেছি। একই কথা উল্লেখ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন জানান, বিষয়টি আমরা দেখতেছি। এব্যাপারে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশে ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সালনা কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ফোন দিয়ে মিমাংসার কথা বললে পুলিশ চলে আসে। তবে বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।