শাহ্ আলম লিটন ->>
আল্লাহ তা’আলা যা সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে মানুষই সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ মানুষের জীবন ধারণের জন্য পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, তা মানুষের জীবনধারণের জন্য কল্যাণকর।
কিন্ত পথভ্রষ্ট, স্বার্থান্বেষী কিছু মানুষ নামধারী অমানুষের জন্য দেশের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সাবলীল ও সুন্দর জীবনযাত্রা বিনষ্ট হচ্ছে ।চারপাশের জীবনযাত্রা বিষে উঠছে।প্রবাদে আছে, সৎসঙ্গ স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ। বাস্তবে আমরা তাই দেখতে পাচ্ছি। বহু কিশোর অসৎ সঙ্গের কারণে নিশার রাজ্যে ঢুকে অধপতনের শিকার হচ্ছে। তাই কিশোরদের চরিএ ও মন মানসিকতা নিরাপদ রাখতে অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
বলছিলাম, নব্য গড়ে উঠা কিশোর গ্যাংদের কথা। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামঞ্চালে ও কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে তারা ভয়ন্কর থেকে আরো ভয়ন্কর হচ্ছে। মাদক জাতীয় বিভিন্ন নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। চলছে মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে । তাদের মনে ভয় -ডর ভদ্রতা বলতে কিছুর জায়গা নেই।
সামান্য ব্যাপারে ও একে অন্যের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ এক কিশোর দল অপর কিশোর দলের সঙ্গে তুচ্ছ বিরোধকে সামনে এনে খুন – খারাবি থেকে ও পিছ পা হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে সমাজে এখন কিশোর গ্যাং এর কাছে পরাজিত। মাদক নেশার টাকা জোগাতে ছোটখাটো জড়ানো অপরাধ থেকে ধীরে ধীরে বয়সের সাধে পাল্লা দিয়ে ভয়ন্কর অপরাধী হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আইস। জানা যায়, আইস ইয়াবার চেয়ে ও ভয়ন্কর।৷ইয়াবার চেয়ে আইস কমপক্ষে ৫০ গুন বেশি শক্তিশালী। বিশেষঞ্জরা বলছেন, এই মাদক আইস সেবনের পর মানবদেহে অতি অল্প সময়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এই উত্তেজক মাদক সেবনে মস্তিষ্কের রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কোন সময় রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। এমন কি এ মাদক হৃদযন্ত্র , লিভার ও কিডনির ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। এটি মানুষকে খুব দ্রুত মৃতুর দিকে ঠেলে দেয।
অথচ এই সব কিশোরদের মাঝে যদি দ্বিনী শিক্ষা ও বুঝ থাকতো তাহলে এমন ধ্বংসের দিকে নিজেকে ঠেলে দিত না। তাহলে তারা শরীরের উপর এমন অমানবিক আচরন করতো না। মহান আল্লাহ তা’ আলা মানুষকে সমগ্র সৃষ্টির উপর মর্যাদা দিয়েছেন। মানুষের সুন্দর শরীর সৃষ্টি করেছেন, তাদের শরীরের যত্ন নেয়ার আদেশ করেছেন, শরীরের শক্তিকে অনার্থক ও গুনাহর কাজ থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মানুষ যার সঙ্গ ইসলাম কখনো নেশা করাকে সমর্থন করে না।
মাদক সেবন করা সম্পর্ণ নিষিদ্ধ এবং অপবিএ কাজ। হাদিস অনুযায়ী যে সব পানীয় পান করলে নেশা সৃষ্টি করে তা হারাম। কুরাআনুল কারিমে নেশা সৃষ্টিকারী জিনিস মদকে নিষিদ্ধ বস্তু হিসেবে আখ্যায়িত করাহয়েছে। শুধু মদ্যপানকারী নয়, অনেকের উপর অভিসস্পত করা হয়েছে। হযরত আনাস ( রাঃ) হতে বণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বলেন, মদের ক্ষেএে দশ ব্যত্তিকে অভিসস্প করেছেন।
এক, মদ প্রস্তুতকারী, দুই, যার নিমিত্তে মদ তৈরি করা হয়, তিন, মদ পানকারি, চার, মদ বহনকারী, পাঁচ, মদ পরিবেশনকারী, ছয়, যার নিকট মদ বহন করে নেওয়া হয়, সাত, মদ বিক্রেতা, আট, মদের মূল্য ভোগকারী, নয়, মদ তৈরি করার আসবার ক্রয় কারী ব্যক্তি দশ, মদে নিমিত্তে যা ক্রয় করা হয়।
এ থেকে ভালো ভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, নেশা, মদপান ব্যক্তি বা দল দেশ ও সমাজ জাতির জন্য অকল্যানকর।
আপনার মতামত লিখুন :