ArabicBengaliEnglishHindi

ঈশ্বরদী অন্যায় ভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা ও মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে হেয় করার অপচেষ্টায় সাংবাদিক সম্মেলন


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২, ৪:৫০ অপরাহ্ন / ১০৭
ঈশ্বরদী অন্যায় ভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা ও মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে হেয় করার অপচেষ্টায় সাংবাদিক সম্মেলন

মামুনুর রহমান,ঈশ্বরদী ( পাবনা )->>
মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী ভাড়াটে ঈশ্বরদী স্কুল পাড়ার ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জিয়াউল হাসান কামরুল পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।

তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন,আমি গত ২০১৬ সালে ঈশ্বরদী বাবু পাড়ার খলিলের মোড়ে অবস্থিত মৃত শওকত হোসেনের ছেলে রাশনাল হোসেনের দোকান ঘর ভাড়া নেই।

নিয়মমতে স্ট্যাম্পে লিখিত শর্ত সাপেক্ষে অগ্রিম টাকা দিয়ে দশ বছরের জন্য দোকান ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু রাশনাল হোসেন বেশী ভাড়ার আশায় চুক্তির শর্তভেঙ্গে আমাকে (জিয়াউল হাসান কামরুলকে) উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গত ০৩.০৩.২০২১ ইং তারিখে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এর পর আমি ঈশ্বরদী ও ডাকাতে চিকিৎসা নিয়ে প্রাণে বেঁছে যায়।

পরে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করলে (মামলা নং- ২৭/১২৬, ধারা- ৪৪৮/৩০৭/৩২৩/৩২৫, পনোল কোড- ১৮৬০)। আমার উপর হুমকি,ধামকিসহ নানা অত্যাচার শুরু হয়। দেওয়া হয় নানা প্রকার হুমি ধামকি। এসব বিষয়ে থানা পুলিশ অবহিত ও পাবনা কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। অথচ উক্ত রাশনাল আমাকে আবারও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য গত শনিবার ঈশ^রদীর একটি সংগঠন অফিসে আমার বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে আমার ও পরিবারের সম্মানহানি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন,রাশনাল জামিনে মুক্তি পেয়ে ভাড়া না নেয়া, দোকানের উপর তার দোতলা থেকে পানি ফেলাসহ বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি শুরু করে। কিন্তু পাবনার সহকারী জজ আদালত কর্তৃক কোর্ট চালানের মাধ্যমে ভাড়া প্রদানের অনুমতি পাওয়ায় আমি কোর্ট চালানের মাধ্যমে ভাড়া প্রদান অব্যাহত রাখি।

এঅবস্থাায় গত ০৩/০৭/২০২১ তারিখে দোকান ঘরের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়, টয়লেট, টিউবওয়েলে তালা মেরে দেয়। বিদ্যুতের অভাবে আমার অর্থ ঋণ করে বিনিয়োাগকৃত ফার্নিচার পরিচর্যার অভাবে নষ্ট হতে থাকে এবং ব্যাপক লোকসান হয়।

তাই আমি জেলা পাবনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ নং আমলি আদালতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করণ ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করি, মোং নং- ১১৫/২১, যা তদন্ত প্রতিবেদনে সত্য বলে প্রমাণিত হয় এবং মহামান্য আদালত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নির্দেশ দিলে বিদ্যুৎ অফিস আমাকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে।

এরপর থেকে আসামী মোঃ রাশনাল হোসেন আমার ব্যবসা বন্ধ করা ও তার বিরুদ্ধে মামলা ও দন্ড থেকে বাঁচার জন্য কূটবুদ্ধি ব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আমার নামে বিভিন্ন কুৎসা রটনা ও মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে যাচ্ছে। আমি কোনদিনও তাকে হেনস্তা হুমকি ধামকি বা বাড়ি দখলের হুমকি প্রদান করিনি যার প্রমান উক্ত এলাকার সকল মানুষের জানা আছে । রাশনালের অত্যাচারী কার্যক্রম দিয়ে আমার মত সাধারন বৈধ ভাড়াটিয়াকে হেনস্তা করা অব্যাহত রয়েছে।

রাশনাল প্রচন্ড অহংকারী হিংসুক অত্যাচারী ভাবে প্রতিনিয়ত বলছে বলে চলেছে । আমি পি.এইচ.ডি ধারী লোক । আমার পি.এইচ.ডি দিয়েই তোকে উচ্ছেদ করবো , দেখি তোর আইন দিয়ে তুই কি করিস ।

তিনি বলেন খুবই সাধারন নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ । আমি এই কাঠের ফার্নিচার তৈরী , মেরামতের কাজ করেই আমার তিন মেধাবী সন্তানের লেখাপড়াার খরচ বহন ও জীবিকা নির্বাহ করি । আমার বড় ছেলে উচ্চশিক্ষা বৃত্তিসহ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বায়োাটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বিএসসি সম্পন্ন করে এবং সে ২০২১ সালে এমএস (থিসিস) ডিগ্রি অর্জন করে।

করোনা মহামারীর সময় সে আইইডিসিআর কর্তৃক আরটি পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ শনাক্তকরনের ট্রেইনিং সম্পন্ন করে এবং কোভিড-১৯ বিষয়ক গবেষণায় যুক্ত ছিল যা ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

আমার একমাত্র মেয়ে সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। আমার ছোট ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করে এবং সে ২০২১ সালে বাংলাদেশ বায়োলজি অলিম্পিযাাডে আঞ্চলিক/বিভাগীয পর্যায় বিজয়ী পদক অর্জন করেছিল ।

আমার এই তিন সন্তানের জন্য আমি সাড়া সাড়ামাড়োযরী মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন গভর্নিং বডির সদস্য ছিলাম এবং মহল্লার মসজিদ কমিটিরও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ১২ বৎসর যাবত নিয়োজিত আছি ।