তিনি বলেন, দেশের ওপর চলছে আওয়ামী বেপরোয়া দখলদারি। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ক্ষমতার সীমাহীন লিপ্সায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকার। দলীয় স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর সর্বনাশা অভ্যাস হয়ে গেছে সরকারের। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ স্থান গড়ে উঠতে না দিয়ে এটিকে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য গুম এবং ক্রসফায়ারকে অলিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় নীতির অঙ্গীভূত করেছে।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সব মামলায় জামিনে থাকা স্বত্বেও গত মঙ্গলবার সিলেট জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদকে বিনা ওয়ারেন্টে গভীর রাতে তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে র্যাব। তাকে র্যাব তুলে নিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাকে আটকের বিষয়টি ঘোষণা করেনি। বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রীয় সংগঠন ও আওয়ামী লীগ এখন অভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির ওপর আক্রমণ করার জন্য অবৈধ অস্ত্রধারী যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং রাষ্ট্রীয় সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে গিয়েই হত্যা, জখম আর পঙ্গুত্বের সারি প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে। চলছে দুবৃত্তায়ন। আওয়ামী দুঃশাসনের ভয়ংকর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের জনজোয়ার দেখে ভীত হয়ে পড়েছে সরকার।
রিজভী বলেন, ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি পেতে বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। ফলে এখন উন্মাদ হয়ে সরাসরি প্রতিবাদ মিছিলে গুলি করে হত্যা করছে। রংপুরের গঙ্গাছড়ায় তুলিপ, মোরসালিন আহমেদ, হাজানুর রহমান হারেস, নারায়ণগঞ্জে আলিফ, সিরাজগঞ্জের রনি ইমরান, চট্টগ্রামের ইব্রাহিমসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী চোখে গুলি খেয়ে এখন অন্ধ হতে বসেছে।
কিশোরগঞ্জে ছাত্রদল নেতা শ্রাবনের পেটে-বুকে অসংখ্য গুলিতে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি আরও বলেন, ২২ আগস্ট থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭২টি মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩২৯ জনের অধিক। আসামি করা হয়েছে ২০ হাজারের অধিক। আহত হয়েছে ১৭১১ জন। আর ৩১ জুলাই থেকে নিহত হয়েছে তিনজন।
আপনার মতামত লিখুন :