নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ফ্যাসিবাদী, ভয়ঙ্কর দুর্নীতিবাজ সরকারকে একটা ধাক্কা দিয়ে পতন ঘটাতে হবে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে হাতে হ্যারিকেন নিয়ে এসেছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই হ্যারিকেনটা গণভবনে পাঠিয়ে দিন। শুধু এই মিটিংয়ে হ্যারিকেন নিয়ে আসলে হবে না। যখনই অন্ধকার আসবে, যখনই লোডশেডিং হবে, তখনই হ্যারিকেন আর মোমবাতি নিয়ে বের হবেন। কারণ, এই মোমবাতি ও হ্যারিকেন নিয়ে বের না হলে আমরা আলোকিত হবো না।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। তাকে চিকিৎসারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। দলের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা কি আরও সহ্য করব? আমরা কি এদেরকে আরও সময় দেব? আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। এখন বিদ্যুৎ, এরপরে জ্বালানি তেল, এরপর রিজার্ভ শেষ হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী।’
প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংসদ বাতিল করুন। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :