ArabicBengaliEnglishHindi

ঐতিহ্য বাহী গরু রাখালের সেই বাঁশির সুর এখন আর নেই


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২০, ২০২২, ৭:৩১ অপরাহ্ন / ৬৯
ঐতিহ্য বাহী গরু রাখালের সেই বাঁশির সুর এখন আর নেই

স্বপন সরকার কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>

ঐতিহ্য বাহী গরু রাখালের সেই বাঁশির সুর এখন আর শুনা যায় না। বিলুপ্তির পথে যেন সব পুরনো সব ঐতিহ্য।  গরু রাখালের সেই চমৎকার  গান ও বাঁশির সুরে মানুষের ভোরে  ঘুম ভাংগা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা বেলা পযন্ত। পরিবেশের সাথে যেন কোন ভাবেই মিলছেনা।পুরনো দিনে প্রত্যেক টি বাড়িতে যেন গরু,ছাগল, হাস মুরগি,ভেড়া লালন পালন করা হত,।কিন্তু এখন আর সেই গৃহপালিত পশু পাখি থেকে শুরু করে কোন প্রনীই যেন লালন পালন করা হচ্ছে না। রাখালের সেই কৌতুক হাসি ঠাট্টা জারি, সারি,ভাটিয়ালি, মারফতি গান এখন আর শুনা যায় না । মনিবের সেই রাখালের আদর ভালবাসা, মান অভিমান আদেশ এখন আর কোনটাই নেই। রাখালের গরু মাঠে চড়ে দিয়ে মিষ্টি দুষ্টামী  হাহাকার চিৎকার এখন শুনা যায় না। রাখালেরা শুধু যে গরু  রাখে তা নয় বরং তারা বাড়ির সমস্ত কাজ করত।মালিকের বাড়ির যেন তারা অধ্যেক অংশ।তাকে ছাড়া যেন কোন কিছুই হয় না।
কালিয়াকৈরে থানার বাঁশতলী গ্রামের উৎপল দাস বলেন,প্রাচীন কাল থেকে আমাদের বাড়িতে প্রচুর গৃহপালিত প্রানী গরু পালন করা হত, রাখাল থাকত চারপাঁচ জন, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে বাড়ির সমস্ত কাজ করত। রাখালের বাশির সুরে যেন প্রান হারিয়ে  যেত। পরিবেশ থাকত রসে ভরা। কিন্তু এখন সবই ধ্বংসে পরিনত হইছে।
কালিয়াকৈর উপজেলার  দিঘীবাড়ী গ্রামের নাহিদ পারভেজ  জানান,বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ।কৃষির মধ্যে  অন্যতম হল গৃহপালিত পশু। দিন দিন পশু  পালন যেন কমে গেছে।পশু পালন কম থাকার কারনে রাখালের প্রয়োজন পড়ে না। তাই এখন রাখালের বাশির সুর শোনা যায় না।
বড়ইবাড়ীর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর আবদুর রশিদ  জানান,গরু রাখালের সেই বাঁশির সুর এখন আর শুনা যায় না । কারন রাখালেরা মানুষের  বাড়িতে  কাজ না করে কলকারখানা কাজ করে বেশি টাকা উপাজন করে।
কালিয়াকৈর উপজেলার প্রানীজ কমকর্তা শাজাহান জানান,গবাদি পশু পালন আধুনিক কতার কারনে কমে যাচ্ছে। তাই দিন দিন মাংস ও দুধের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।গরু পালন করা লাভ জনক থাকার কারনেও এখন চাষাবাদ কমে গেছে মানুষ শিল্পায়নের  দিকে দাপিত হচ্ছে।