নিউজ ডেস্ক ->>
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। এরপর এই ধরনের জন্য টিকার আলাদা বুস্টার ডোজ তৈরির কাজ শুরু করে টিকা তৈরিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মডার্নার তৈরি বুস্টার ডোজ বানরের শরীরে যে ধরনের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে, ঠিক একই ধরনের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি করে করোনার সাধারণ টিকাও।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, এ গবেষণা থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ওমিক্রনের জন্য আলাদাভাবে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই। নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণরোধে টিকা প্রস্তুতকারকরা যখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, তখনই এ তথ্য জানালো এনআইএআইডি।
খবরে বলা হয়েছে, গবেষণা চালাতে বানরের শরীরে মডার্নার দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ করেন তারা। এর ঠিক নয় মাস পর ওমিক্রন ধরনকে লক্ষ্য করে মডার্নার বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। এরপর প্রাণীদের ভাইরাসের সংস্পর্শে নিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় তারা দেখতে পান, বানরের শরীরে মডার্নার তৈরি বুস্টার ডোজ দেয়ার পর যে ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউনিটি) দেখা যায়, করোনার প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়ার পরেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়।
সাধারণ ভাষায় বলতে গেলে, প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকা যে প্রকারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে, বুস্টারও একই প্রক্রিয়ায় কাজ করে। যে কারণে আলাদা করে বুস্টার ডোজ নেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এনআইএআইডির প্রধান গবেষক প্রধান রবার্ট সেডার।
এনআইএআইডির ভ্যাকসিন গবেষক ড্যানিয়েল ডুয়েকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গবেষণায় উঠে আসা তথ্য নিয়ে তারা আশাবাদী। সাধারণ টিকা আর বুস্টার ডোজ যদি একই কাজ করে থাকে, তাহলে শুধু ওমিক্রনের টিকা বানাতে নতুন করে মৌলিক ডিজাইন করার দরকার নেই বলে মনে করেন তিনি।
মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনোলজির অধ্যাপক জন মুর অবশ্য বলেছেন অন্য কথা। প্রাণীকূলের ওপর টিকার ব্যাপ্তি পরীক্ষার ব্যাপারে তিনি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপে মানবদেহেও পরীক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান তিনি।
জন মুর বলেন, বানরের ওপর করা পরীক্ষায় পাওয়া ডেটা সাধারণত ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ। তবে মানুষের ওপর পরীক্ষার ডেটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :