ArabicBengaliEnglishHindi

কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বসত বাড়ির গেট ভাংচুরের অভিযোগ


প্রকাশের সময় : মে ১৮, ২০২২, ৭:২৩ অপরাহ্ন / ৬২
কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বসত বাড়ির গেট ভাংচুরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার- >>
নওগাঁর সাপাহারে বসত বাড়ির নবনির্মিত গেইট ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে সরকারী ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিুদুল ইসলাম’র বিরুদ্ধে। এবিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন দোয়ানীপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে বাড়ীর মালিক ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দোয়ানীপাড়া এলাকায় সরকারী কলেজের দক্ষিনাংশে আরিফুল বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় বাড়ি সুরক্ষার জন্য গত ১৬ মে আরিফুল গেইট নির্মাণ করেন। পরে বিবাদী মজিদুল উক্ত জায়গা কলেজের দাবী করে। এবং কোনরূপ মাপযোখ না করেই ১৮ মে দুপুর ১২টার দিকে সরকারী কলেজের ২৫/৩০ জন অজ্ঞাতনামা ছাত্র পাঠিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ির গেইট ভাংচুর করে। এতে ভুক্তভোগীর প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী আরিফুর ইসলাম বলেন, আমি আমার জায়গায় বাড়ির নিরাপত্তার জন্য সামনে আংশে একটি গেইট নির্মাণ করি। আমি তাদের বলেছিলাম জমি মাপযোগ করে কলেজ যদি কোন জায়গা পায় তাহলে আমি দিয়ে দিব। কিন্ত তারা কোন কথা না শুনেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ ছাড়া আজকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নির্দেশে ২৫/৩০ জন ছাত্র পাঠিয়ে আমার গেইট ভেঙেফেলে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকে সহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আমার ছোট মেয়েকে ইট ছুড়ে মারে৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি কোন জায়গায় দখল করিনি বরং আমার ৩ ফিট্ জায়গায় কলেজের মধ্যে রয়েছে। কলেজে শিক্ষার বদলে ছাত্রদের দিয়ে ভাংচুর করা কতটা যৌতিক। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদুলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, জায়গাটা আমাদের কলেজের। তাদের গেট নির্মান করতে নিষেধ করা হয়েছিল, তবুও তারা শোনেননী।

তিনি আরও বলেন, তবে ভাংচুরের সময়ম আমি ছিলাম না। ছাত্ররা যদি কলেজ রক্ষার জন্য কিছু করে থাকে তার দ্বায়ভার আমার উপরে বর্তায়না।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল মাহমুদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।