কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাস ট্রামিনালের দক্ষিণ পাশে জমে ওঠেছে ঐতিহ্য বাহি মাছের আড়ত।গাজীপুর জেলার এটি একটি প্রাচীন তম মাছের আড়ত। এই আড়দে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার, কারপু,ইলিশ,চিংড়ি, কই, শিং,মাগুর, পাংগাস বিভন্ন প্রজাতির মাছ ক্রয় ও বিক্রয় হয়ে থাকে। প্রতিদিন এই আড়দে প্রায় ছোট বড় প্রায় ৪০-৪৫ টি মাছের গাড়ী বিক্রি করা হয়। কালিয়াকৈরে মোট আড়দের ভিটি আছে ৪০ টা,এখানে প্রায় ৩০০ লেবার ও ড্রাইভার, হেলপার , পাইকার, আড়তদার সবমিলিয়ে ৪০০০ / ৫০০০ লোকের কমসংস্থান।
আড়তদার আব্দুর রশিদ জানান,কালিয়াকৈরে মাছের আড়দ একটি পুরাতন প্রতিষ্ঠান। এখন বর্তমানে বিভন্ন স্থানে আড়দ হওয়ার কারনে কালিয়াকৈর মাছের আড়ত দে পাইকার আসে কম। অতিরিক্ত খাজনা থাকার কারনে পাইকার ও যে সব মাছের গাড়ী আসত তা এখন আসে না।
আড়তদার লালচান জানান,চার পাঁচ বছর আগে খাজনা কম ছিল তখন মাছের গাড়ী ও পাইকারের গাড়ী প্রচুর আসত বেচা কেনা করতাম প্রতিদিনই ৪/৫ গাড়ী, ব্যবসা হত জাকঁজমক। এখন ব্যবসায় ধস নেমে আসছে গাড়ী বিক্রি করতে পারিনা বিভন্ন্ সমস্যার কারনে।
পাইকার মোকসেদ জানানা,কালিয়াকৈরের মাছের আড়দ থেকে মাছ কিনি প্রায় ২০ বছর ধরে,এখন আর আগের মতন সুখ করতে পারিনা। অন্যান্য আড়দের তুলনায় কালিয়াকৈরে খাজনা বেশি যার কারনে মাছ কিনে সুবিধা করতে পারিনা।
পাইকার প্রদীপ জানান কালিয়াকৈরে এখন মাছ আসে কম যার কারনে দাম বেশি। আগে মাছ আসত বেশি দাম ছিল কম।খাজনা অনেক বেশি যার কারনে ব্যবসা সুবিধা করতে পারছিনা।
ড্রাইভার রকমান জানান,কালিয়াকৈরে মাছ বিক্রি করি ১৫/১৬ বছর ধরে। ২০১৩ সালেও প্রতি গাড়ী প্রতি খাজনা ও অন্যান্য ভেট দিতাম ২০ টাকা, আর এখন বতর্মানে টাকা দিতে হয় বড় গাড়ী ৪৮০ টাকা, ছোট গাড়ী ৩৮০ টাকা। অন্যন্য আড়দের তুলায় সবকিছুই অনেক বেশি। পাইকার আগের তুলনায় অনেক কম।
আপনার মতামত লিখুন :