ArabicBengaliEnglishHindi

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের  জটিলতায়, চরম দূর্ভোগে রোগীরা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৫, ২০২২, ১২:২১ অপরাহ্ন / ১০৫
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের  জটিলতায়, চরম দূর্ভোগে রোগীরা
স্বপন সরকার,কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি ->>
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেট বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ডায়রিয়াজনতি রোগীদের। বাধ্য হয়ে তারা করোনা আইসোলেশনের টয়লেট ব্যবহার করছেন। এছাড়াও অপরিষ্কার-অপরিছন্ন হাসপাতালে রয়েছে দালালদের দৌরত্বসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ।
সরেজমিনে ঘুরে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নতি হলেও সেবার মান উন্নয়ন হয়নি। গত দুই মাস যাবত ওই হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেটটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে।
ওই টয়লেটের পানি নিচের অফিস কক্ষে ঝড়ে পড়ায় বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই টয়লেটটি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ডাইরিয়াজনতি রোগীদের। বাধ্য হয়ে তাদের পাশের ভবনে ঝুকিঁ নিয়ে করোনা আইসোলেশনের একটি টয়লেট ব্যবহার করলেও সেটির দরজা আটকানোর সিটকারী নেই। এতে টয়লেট ব্যবহারেও নেই কোনো নিরাপত্তা।
এদিকে বাধ্য হয়ে ওই টয়লেটটি ব্যবহার করলেও করোনার আতঙ্কে রয়েছেন ওই পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের স্বজনরা। এছাড়াও নার্সদের ব্যবহৃত টয়লেটটিও সমস্যায় জর্জড়িত। অপর দিকে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় বাড়লেও সে অনুপাতে বাড়েনি জনবল। তারপরও কিছু কিছু চিকিৎসক নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। শুধু তাই নয়, সরকারী কোয়াটারে থাকার কথা থাকলেও কিছু চিকিৎসক ইচ্ছে মতো নিজ নিজ বাসা থেকে হাসপাতালে আসেন।
এছাড়া জনবলের অভাবে বছরখানেক ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে এক্সরে মেশিন। ফলে পাশের ক্লিনিক গুলোতে এক্সরে করাতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালটি যেন দালালদের হাতেই জিম্মি। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানি শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। অপরিষ্কার-অপরিছন্ন হাসপাতালের পয়নিষ্কাশনের ড্রেন ও আশপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ফলে হাসপাতালে মশার উৎপাত বেড়েছে। এসব সমস্যার সমাধানে নেই কোনো উদ্যোগ কর্তৃপক্ষের। তবে সকল প্রকার সমস্যা সমাধান করে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রত্যাশা জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
ওই হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী বৃদ্ধ শাহ আলম বলেন, চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। অন্যান্য সমস্যার চাইতে সবচেয়ে বড় সমস্যা টয়লেট বন্ধ থাকায় পাশের করোনা হাসপাতালের টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। ওই দরজার সিটকারী না থাকায় আরেকজন দরজার কাছে দাড়িয়ে থাকতে হয়। অপর রোগী আব্দুল মান্নান বলেন, সাত দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। হাটাচলা করতে সমস্যা থাকলেও দুরের টয়লেটে যেতে হচ্ছে। শুধু তারাই নয়, হাসপাতালে চিকিসারত অন্যান্য রোগীরাও জানিয়েছেন, পানির অভাবে ঠিকমত তাদের গোসল এবং কাপড় পরিষ্কার করতে পারছেন না।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল বেলাল জানান, ওই টয়লেট লাইনে ক্রটির কারণে পানি নিচে অফিসে পড়ে। একারণে গত দুই মাস ধরে ওই টয়লেট বন্ধ রয়েছে। তবে টয়লেটের কাজের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।