ArabicBengaliEnglishHindi

কালিয়াকৈর সরকারী চিকিৎসকদের ছত্র-ছায়ায় অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি


প্রকাশের সময় : মে ২৯, ২০২২, ৬:২১ অপরাহ্ন / ৭৬
কালিয়াকৈর সরকারী চিকিৎসকদের ছত্র-ছায়ায় অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি ->>

গাজীপুরের কালিয়াকৈর সরকারি চিকিৎসকদের ছত্র-ছায়ায় অবৈধ ক্লিনিকের ছড়াছড়ি। এসব ঠেকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় রবিবার বিকেলে এসব ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান করছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় মাত্র একটি ক্লিনিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন ক্লিনিক, রােগী ও তাদের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, ফুলবাড়ীয়া, কালিয়াকৈর বাজার, সাহেব বাজার, শ্রীফলতলীসহ বিভিন এলাকায় প্রায় অর্ধশত কমিউনিটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠছে।

এর মধ্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স অতি সনিকটে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ্য ভাবে চলছে ডিজি ল্যাব ক্লিনিক্যাল ল্যাবটরী নামে একটি অবৈধ ক্লিনিক। সরকারি চিকিৎসকদের ছত্র ছায়ায় এসব অবৈধ ক্লিনিক গড়ে উঠায় রমরমা বাণিজ্য চালিয় যাছেন অবৈধ ক্লিনিক মালিকরা। মুল্য তালিকার চেয়ে বেশি অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

হয়রানির শিকার হচ্ছেন রােগী ও তাদের স্বজনরা। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানি রােধে ৭২ ঘটার মধ্য অবৈধ্য হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় । কি ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তারা কৌশলে অবৈধ ক্লিনিকগুলাকে কাগজপত্র ঠিকঠাক করতে কয়েকদিন সময় বেধে দিয়েছে বলে অভিযাগ উঠেছে।

রবিবার দুপুর ১২টার দিকে অফিস ফাঁকি দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালট্যাট ডাঃ কুহু মুৎসুদ্দী স্থানীয় কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় দেওয়ান ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে যান। সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্য সিজারের নিয়ম থাকলেও তিনি ওই হাসপাতাল গিয়ে অর্থের বিনিময় একটি সিজার করেন। এসময় স্ানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতে টের পেয়ে দৌড় দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জানাবে তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে ওই হাসপাতাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামাল হাসান সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অভিযান চালিয় কাগজপত্র অবৈধসহ বিভিন অনিয়মের অভিযাগ ওই হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযাগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালট্যাট ডাঃ কুহু মুৎসুদ্দী জানান, অন্য একটি কাজে এসেছিলাম। এখন আবার হাসপাতালে যাছি।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ বেলাল উদ্দিন জানান, ওই চিকিৎসক ছুটিতে থাকতে পারে।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবন সাজ্জাদ জানান, বিভিন অনিয়মের কারণ ওই হাসপাতালক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংশিস্নষ্ট উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে । তবে অবৈধ ক্লিনিকগুলার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকব।