নীলফামারী প্রতিনিধি ->>
ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন চান্দখানা গ্রামের বোতলগঞ্জ বাজার থেকে ৪২৫ কিলোমিটার রাস্তাটি বেহাল দশা দেখার যেন কেন নেই , হাজার দিয়ে গাড়ি ও ভ্যান অটোরিকশা চালকরা দিশে হারানো মানুষ হাঁটতে পারে না, এই রাস্তাটি দিয়ে আমবাড়িরহাট দিয়ে ডোমার উপজেলা জাওয়া যায় এলাকার মানুষ জানান রাস্তাটি কত মাফ নিয়ে যায় কবে হবে এই রাস্তাটি তা কেউ জানে না, বর্তমানে এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে থমকে আছে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। মাত্র ৪২৫ কিলোমিটার সড়কটি এখন এই অঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় হয়েছে। তবুও দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
তিন চার বছর আগে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে বটতলী বাজার থেকে রেলঘুন্টি পর্যন্ত রাস্তাটি পাকা করা হয়, রেলঘুন্টি থেকে বোতলগঞ্জ বাজার পর্যন্ত এখনো রাস্তাটি পাকা করা হযনি
বর্তমানে শুকনো মৌসুমেও চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার কিছু কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। যে গর্ত পায়ে হেঁটে পার হওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
যার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ তাদের কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য উপকরণ পরিবহন করতে পারছেন না। এমনকি ভ্যানগাড়িও চলাচল করতে পারছে না। যার কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়েই ধানসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণগুলো কম মূল্যে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে করে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। এছাড়াও রাস্তাটির
বোতলগঞ্জ বাজার স্থানের একটি রাস্তার দুর্ভোগের মাত্রাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। রাস্তাটি ভালো না হওয়ায় শুকনো ও বর্ষা মৌসুমে
এই অঞ্চলের শত শত শিক্ষার্থীদের দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। যার কারণে এই অঞ্চলের মানুষদের অর্থনীতির চাকা থমকে আছে মাত্র এই ৪২৫ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার কারণে। এলাকার মানুষ অতিষ্ঠিত হয়ে রাস্তার মাঝে ধান লাগান , এই এলাকার মানুষের অভিযোগ যেই রাস্তা দিয়ে মানুষ ও ভ্যান অটোরিকশা চলাচল করতে পারে না সেই রাস্তার কিশেরদরকা সরকার থেকে ভালোটাকা ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যরা পায় তবুও রাস্তা করে দেয় না ।
রবি , মমিনুল ইসলাম,মন্টু মিয়া,কোইরোদ,সহ অনেকেই বলেন, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা এই সুবিধা থেকে অনেক দূরে আছি। আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা এখনো চরমভাবে অবহেলিত। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করা পর্যন্ত শহরের সুবিধা কখনোই গ্রামে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই এই সামান্য গ্রামীণ রাস্তাটিকে দ্রুত আধুনিকায়ন করে এই অঞ্চলের কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
কেতকীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ ইসলাম রুমান বলেন কালকে দুই তিন গাড়ি বালু ফেলবো, এই রাস্তাটি বর্তমানে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর এই রাস্তাটি মেরামত করার বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করব।
ইউপি সদস্য তারেক রহমান বলেন আমরা কত মেরামত করবো,
এই বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জনাব রজিব আলম জানান আমি যতো তারাতাড়ি পারি মেরামতের ব্যবস্তা করে দিবো
আপনার মতামত লিখুন :