ArabicBengaliEnglishHindi

কোরবানীর পশু জবেহ করার নিয়ম ও পদ্ধতি


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩, ২০২২, ৯:৩৫ অপরাহ্ন / ৯০
কোরবানীর পশু জবেহ করার নিয়ম ও পদ্ধতি

মাওলানা শামীম আহমেদ-

অধিকাংশ ব্যক্তি নিজের কোরবানি নিজে না করার পেছনে অন্যতম কারণ হলো- অনেকেই মনে করেন যে, তিনি কোরবানির পদ্ধতি বা নিয়ম জানেন না। আসলে কোরবানি নিয়ম ও পদ্ধতি একেবারেই সহজ।

কোরবানির পশু জবেহ করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি। তবে পশু জবেহ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য এ দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখলেই কোরবানির পশু জবেহ হয়ে যাবে। কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাহলো-

জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ’ বলে জবেহ করা। অর্থাৎ বিসমিল্লাহ বলে জবেহ করার জন্য ছুরি চালানো শুরু করা। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে যেন পশু জবেহ করা না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা।

জবেহ করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, পশুর খাদ্যনালী, শ্বাসনালী আর দুই পাশে থাকা দুটি নালী কেটে দেয়া। এ নালীগুলো কাটা হয়ে গেলেই পশু জবেহ বিশুদ্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখিত দুটি বিষয় খেয়াল রেখে যে কেউ তার নিজ নিজ পশু কোরবানি করতে পারেন। অর্থাৎ কোরবানির সময় আল্লাহর নামে তথা বিসমিল্লাহ বলে পশু খাদ্যনালী, শ্বাসনালী ও দুই পাশে দু’টি নালী জবেহ করা। তবেই কোরবানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে। পশু জবেহ করার সময় আরও যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

পশু জবেহ করার ছুরি ভালোভাবে ধার দিয়ে নিতে হবে। যাতে জবেহ করার সময় পশুর কষ্ট না হয়। অনেকে একটি ছুরি দিয়ে একাধিক পশু কোরবানি করে থাকেন। সেক্ষেত্রে শেষ দিকে ছুরির ধার কমে যায়। সেক্ষেত্রে ছুরিতে ধার দিয়ে নেয়া। হাদিসে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পশু জবেহ করার আগে ছুরি-চাকুতে ভালোভাবে ধার দিয়ে নেয়া।’ (মুসলিম)

অন্য পশুর সামনে জবেহ না করা। পশুর সামনে ছুরি-চাকুতে ধার না দেয়া। এতে পশু ভয় পেয়ে যায়। এতে পশুকে কষ্ট দেয়ার শামিল।

কোরবানি করার সময় পশুকে পশুর বাম কাতে শোয়ানো। সে সময় পশুর পাগুলো পশ্চিম দিকে থাকবে।

কোরবানির পশু জবেহ করার জন্য শোয়ানোর পর দোয়া পড়া। এ দোয়াটি বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যদিও অনেকে দোয়াটির সনদের ব্যাপারে মতপার্থক্য করেছেন। তবে এ দোয়াগুলো পড়ে কোরবানি করা উত্তম। তবে কেউ শুধু বিসমিল্লাহ বলে নালীগুলো কেটে দিলেই কোরবানি শুদ্ধ হয়ে যাবে।

দোয়াটি হলো-ঃ

উচ্চারণ- ইন্নি ওয়াঝঝাহতু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা আলা মিল্লাতি ইবরাহিমা হানিফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বি-জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা মিনকা ও লাকা।

যদি কেউ এ দোয়াটি না পারেন তবে ছোট্ট এ অংশটুকু পড়বেন- বিসমিল্লাহীর রহমানীর রাহীম আল্লাহ আকবার বলে জবেহ করবেন।