ArabicBengaliEnglishHindi

খালেদা জিয়ার হার্টে দ্বিতীয় রিং বসানো হ‌তে পা‌রে


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০২২, ৯:০১ অপরাহ্ন / ৮৬
খালেদা জিয়ার হার্টে দ্বিতীয় রিং বসানো হ‌তে পা‌রে

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হার্টে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছিলেন তার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা। এর মধ্যে একটি ব্লক খুব বেশি হওয়ায় সেখানে রিং বসানো হয়। বর্তমা‌নে তার হার্টে দ্বিতীয় রিং বসানোর ব্যাপা‌রে চিকিৎসক দল চিন্তাভাবনা কর‌ছেন বলে বিএন‌পির একটি সূত্র জা‌নি‌য়ে‌ছে।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

রোববার (২৮ আগস্ট) রা‌তে বিএন‌পি চেয়ারপারসন‌কে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট তার চিকিৎসকদের হা‌তে এসেছে। কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। সেগুলো পাওয়ার পর খা‌লেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার হার্টে রিং বসানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এবারও এন‌জিওগ্রাম ক‌রলে খালেদা জিয়ার হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়ে। ত‌বে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা ক‌রে আপাতত একটিতে রিং বসানোর ব্যাপা‌রে তার চিকিৎসকরা পরিকল্পনা কর‌ছেন ব‌লে জানা গে‌ছে।

খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার জানান, ‌তি‌নি খা‌লেদা জিয়া‌কে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। ত‌বে তার শারীরিক অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। চিকিৎসা চলছে। তি‌নি খা‌লেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কা‌ছে দোয়া চে‌য়ে‌ছেন।

খা‌লেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হ‌বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার চিকিৎসকরা চিন্তাভাবনা করছেন। এর আগে হা‌র্টের এক‌টি ব্লকে রিং বসানো হয়েছে। এখন আরও দুটি ব্লক ধরা পড়েছে। সেগুলোতে রিং বসানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। ত‌বে আপাতত একটা‌তে রিং বসা‌নোর ব্যাপা‌রে মোটামু‌টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ ব‌লে তাকে দেখতে হাসপাতালে যেতে পারিনি। তবে খবর নিয়ে জেনেছি, তার শারীরিক অবস্থা অবস্থা বি‌শেষ ভালো না। বেশ কিছু টেস্ট করা হলেও সব পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়‌নি। সব রি‌পোর্ট পে‌লে পরবর্তী চি‌কিৎসার ব্যাপা‌রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, দুপু‌রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এখনও ‌তি‌নি খা‌লেদা জিয়া‌কে দেখতে যে‌তে পা‌রেন‌নি। তাই বেগম জিয়ার সর্ব‌শেষ শারীরিক অবস্থার কথা স‌ঠিকভা‌বে বল‌তে পার‌ছেন না। খালেদা জিয়ার বিষয়ে জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা ব‌লেন ফখরুল। তবে ডা. জাহিদ হোসেনের স‌ঙ্গে যোগা‌যোগ করা সম্ভব হয়নি।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। সে সময় এবং পরবর্তীতে অন্য অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে কয়েক দফায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়াও গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।