ArabicBengaliEnglishHindi

গোবিন্দগঞ্জে তেলের লিটারে কম দেওয়ার অভিযোগ দেখার কেউ নেই


প্রকাশের সময় : জুলাই ৪, ২০২২, ১০:০৮ অপরাহ্ন / ৭৬
গোবিন্দগঞ্জে তেলের লিটারে কম দেওয়ার অভিযোগ দেখার কেউ নেই

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ->>
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অসাধু তেল ব্যবসায়ী ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ। দেখার কেউ নেই।

অভিযোগে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের মৃত-ছাত্তার ফকিরের ছেলে শফিকুল ইসলাম ১০/১২ বছর যাবৎ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাগদা বাজারের ম্যানেজার দ্বারা মেসার্স আশা এন্টারপ্রাইজের সাইন বোর্ড লাগিয়ে ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন, মবিল, গিয়ার অয়েল, গ্রিজ, ইঞ্জিন ওয়াটারের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

সম্প্রতি কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ১নং কাটাবাড়ী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ট্র্যাক্টর ব্যবসায়ী লিটন মিয়া অভিযোগ করেন, তিনি নিয়মিত আশা এন্টারপ্রাইজের তেলের দোকান থেকে ডিজেল নিয়ে ট্র্যাক্টর চালাচ্ছিলেন। ১০/১২ দিন থেকে ডিজেল কম দেওয়া শুরু করলে তার সন্দেহ হয়। এতে সে ১০ লিটার ডিজেল নিয়ে পূর্নরায় মাপ দিয়ে দেখতে পায় ৩ শ’ গ্রাম ডিজেল কম।

এ নিয়ে আশা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার ফরিদ পাঙ্গাসী গ্রামের ছানা উল্ল্যাহর ছেলে রবিউল করিমের নিকট ডিজেল ওজনে কেন কম দেওয়া হলো এর অভিযোগ তুললে তিনি তার মার্কেট মালিকের ছেলে হাবু ও পাভেলকে ডেকে তাদের সামনে ভুল স্বীকার করে ওজনে কম দেওয়া ডিজেল পুষে দেন। একই অভিযোগ করেন, ওই গ্রামের আরেক ভোক্তা জমির উদ্দিন।

মেসার্স আশা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার রবিউল করিমের কাছে এ ব্যবসায় তাদের লাইসেন্স আছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাদশা মিয়ার নামে পেট্রোবাংলার যমুনা লাইসেন্স আছে। তবে এর কোন কিছুই তিনি দেখাতে পারেননি।

গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লা বলেন, যত্রতত্র পেট্রোল, ডিজেল বেচাকেনা হলেও এসবের মান ও ওজন নিয়ে মানুষ অনেক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস ছালামের কাছে এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।