যশোর প্রতিনিধি ->>
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আবহাওয়াবিদদের পুর্বাভাসকে গুরুত্ব দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না কৃষকরা। পাকার মুখে মাঠের সোনালী ধান ঝড়ে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন না তারা। সোনার ফসল ঘরে তোলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। বাতাসে দুলছে সোনালি শীষ। এরই মধ্যে ‘অশনি’ নামের নতুন ঝড় কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। যাদের ধান কাটার উপযোগী হয়ে গেছে তারা কোন মনেই দেরি করছেন না। যেভাবে পারে সেভাবেই কেটে বেধে ডাঙ্গায় তুলছেন। কোন কোন চাষি পরিবারের সকল সদস্যকে মাঠে নামিয়েছেন। কেউ উচ্চ মূল্যের শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন। এরপরেও অনেকে সময়মত ধান কাটতে না পারার শঙ্কায় রয়েছেন।
বাঘারপাড়ার খাজুরা দুর্গাপুরের কৃষক হালিম মোল্লা জানান,তিনি আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ধান পেকেছে, ভেবেছিলেন ধিরে ঘিরে কাটবেন। তা আর হচ্ছে না। সামনে ঝড়। তাই নিরুপায় হয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে এক বিঘার মতো জমির ধান কাটতে পেরেছেন। বাকি জমির ধান কাটা চলছে। তিনি এখনো দুঃশ্চিন্তায় আছেন। একই কথা জানান সদর উপজেলার তালবাড়ীয় গ্রামের কৃষক আয়ুব হোসেন। ঝড়ের আগে ধান কাটতে পারবো কিনা জানি না। তবে সবাই মিলে চেষ্টা করছি। কষ্ট হচ্ছে, খরচও হচ্ছে, তবে কিছু করার নেই। ধান তো আর ঝড়ে উড়াতে পারি না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক দীপঙ্কর দাস জানান, অর্ধেক ধান কেটে ঘরে তুলেছে কৃষক। বাকি অর্ধেক ধান ঝড়ের আগে তোলা সম্ভব হবে না। যদি ঝড় বৃষ্টি হয় কিছু ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
আম নিয়ে চিন্তায় আছে চাষিরা। একটু পুরুষ্ট আম পেড়ে ফেলছেন অনেকে। তবে আম পাড়ার সময় না হওয়ায় কেউ কেউ চূড়ান্ত পূর্বাভাসের অপেক্ষায় আছেন। যদি ঝড় দেশের দিকে আসে সেক্ষেত্রে আম চাষিরা রাতারাতি পেড়ে ফেলতে বাধ্য হবেন।
আপনার মতামত লিখুন :