ArabicBengaliEnglishHindi

চাঁদাবাজ চক্রের কবলে মিরপুর ফুটপাতের হকাররা-২য় পর্ব


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২২, ১২:০১ অপরাহ্ন / ৪২৬
চাঁদাবাজ চক্রের কবলে মিরপুর ফুটপাতের হকাররা-২য় পর্ব

এস এম জীবন ->>
চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রাজধানীর অন্যতম এলাকা মিরপুর-১নং সহ আসপাশের ফুটপাতের চারপাশে রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ফুটপাতে বসা হকারদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।বাদ পড়ছেন না বিভিন্ন মার্কেটে পজিশন নিয়ে বসা হকাররাও।

চাঁদাবাজদের নামে থানায় অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। পুলিশ যেন এই সকল ফুটপাত চাঁদাবাজদের কাছে অসহায় এমনি অভিযোগ পথচারীদের পথচারীরা বলছে পুলিশ চাইলে পারেনা এমন কাজ নজিরবিহীন।

সরেজমিনে দেখা যায়, নিউমার্কেট হয়ে জিমার্ট এর ফুটপাত বন্ধ অথচ বন্ধ করতে পারছেননা মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বাগদাদ শপিং মার্কেট এর ফুটপাত। এখান ফুটের হকারদের দাবি “কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ”!
অপররদিকে দারুসসালাম থানার আওতাধীন এলাকায় ফুটপাত তোলা তো দুরের কথা থানা প্রশাসন ও পিআই এর কোন উদ্দোগই নেই বললে চলে।

এ বিষয়ে দারুসসালাম জোনের পিআই জনাব কামল’র সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন প্রতিদিনের এটা আমার রুটিন কাজ তারপরও যখন আমরা থাকিনা তখনই চলে ফুটপাত, প্রতিবেদক পিআই জনাব কামালকে প্রশ্ন করেন ফুটপাত তো চলেই বিকালে তাহলে কি বিকালে আপনার ডিউটি থাকেনা, তখন তিনি কথা খুরে ফোনটি কেটে দেন।

অনুসন্ধানে যানা যায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রসাশনকে ম্যানেজ করেই চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাপিটেল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা হক মার্কেট,কো-অপারেটিভ মার্কেট,শমসেরে মার্কেট এর সামনের ফুটপাতের ব্যাবসা, এবং করছে চাঁদাবাজি। এসব চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন অসহায় ফুটপাতের হকাররা প্রত্যেক হকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০০/৫০০ টাকা পর্যন্ত নানা অনুপাতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তোলা হয়।

ফুটপাতে দোকান করতে হলেই চাঁদা দিতে হয়, না দিলে দোকান ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় অথবা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
দারুসসালাম থানা এলাকায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ডেকেরেটর হারুন, রহিম,আকবর, হিরু, খলিল, রুবেল,স্বপন,মানিক, আরো অনেকে।

ডেকেরেটর হারুন চাদা তুলেন শমসের মার্কেট ও শাহআলী সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের,
রহিম চাদা তুলেন কো- অপারেটিভ মার্কেটের, আকবর চাদা তুলেন ক্যাপিটেল মার্কেট, হক মার্কেটের চাঁদা তুলেন হক সাহেবের ছেলে হিরু।

অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে চাঁদা তুলেন ভাগিনা সেলিম ও লিফট সেলিম, ফেয়ার ও ছিন্নমূল মার্কেটের চাঁদা তুলেন রুবেল,বাগদাদ শপিং মার্কেটের চাঁদার টাকা যায় যুব মহিলালীগ নেতৃ মনির কাছে।বৈশাখী সুপার মার্কেট হতে তানিন ভবন পযন্ত একক চাঁদা তুলেন হাবিবুর রহমান হাবিব

বার বার চাদাবাজদের ছবি সহ খবর প্রকাশ হওয়ার বন্ধ হচ্ছেনা চাঁদাবাজী! নড়ছেনা টনক?কোথায় কতো টাকার বিনিময়ে নিরোপ প্রশাসন আসছে আগামী সংখ্যায়।