শৌখিন মিয়,সংযুক্ত আরব আমিরাত ->>
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রক রবিবার জানিয়েছে, ছয় বছর পর দেশটি আবার ইরানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই উপসাগরীয় আরব ফেডারেশনটি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকী হিসেবে বিবেচিত ইরানের সঙ্গে তারা সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের কুটনীতিকরা চাইছেন পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে ইরানের সঙ্গে চলমান ১৬ মাসের আলোচনার সমাপ্তি টানা। এই চুক্তিই বিশ্বশক্তি সাথে ইরানের বিরোধের প্রধান কারণ। এমন প্রেক্ষাপটে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
সৌদি আরব একজন বিশিষ্ট শিয়া ধর্মগুরুর ফাঁসির আদেশ দিলে,তার প্রতিবাদে ইরানি জনতা তেহরানের দুটি সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলা করে। এ ঘটনার পর, উপসাগরীয় অঞ্চলের শেখ শাসিত দেশটির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ২০১৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তাদের তেহরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যার করে। এরপর,যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসলে এবং ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে “সর্বোচ্চ চাপ” নীতি গ্রহণ করলে, সংযুক্ত আরব আমিরাত তার নীতিকে সমর্থন করে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়।
২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে তেল ট্যাংকারে এবং সৌদি তেল স্থাপনায় ধারাবাহিক হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার পরও, আবুধাবি বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে চেয়েছিল। এদিকে,বহির্বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া ইরানের অনেক বিশেষজ্ঞ দুবাইয়ে বসবাস করে।এদের প্রভাবে দুবাই তেহরানের প্রাণভোমরা হিসেবে দেখা দেয়।
এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছর তেহরানের আঞ্চলিক শত্রু ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পরও, আমিরাতের কর্মকর্তারা, আঞ্চলিক পরোক্ষ যুদ্ধের হুমকি কমানোর লক্ষ্যে, ইরানের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :