ArabicBengaliEnglishHindi

জামালপুরের রাস্তাগুলো অবৈধ যানবাহনের দখলে, দেখার কেউ নেই


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২২, ১১:১২ পূর্বাহ্ন / ১৫৮
জামালপুরের রাস্তাগুলো অবৈধ যানবাহনের দখলে, দেখার কেউ নেই

এমরান হোসেন ->>

জামালপুর জেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও অলি গলিতে চলছে ফিটনেসবিহীন মাহেন্দ্র, সেলুমেশিন চালিত ট্রাক্টর, নছিমন, ভুটভুটির মতো অবৈধ যানবাহন।কৃষিকাজে ব্যবহিত মেশিনগুলোকে যানবাহনে রূপান্তরিত করে কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে চলছে ওই সব যানবাহন।

জেলা শহরসহ প্রতিটি উপজেলার সর্বত্রই দেখা মিলছে খড়, ইট, বালু ও মাটি বহনকারী ট্রলি, ট্রাক্টর ভুটভুটি’র। বিশেষ করে জামালপুর পৌর এলাকায় এদের দাপট অত্যাধিক বেড়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই সব অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ন্য দিনদিন বেড়েই চলছে। অপরদিকে বেপরোয়া চলাচলের কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, অকালে ঝরছে তাজা প্রাণ। অনেকেই বরন করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। এসব যানবাহন বেপরোয়া গতিতে চলার কারনে গ্রামীণ রাস্তাঘাট দ্রুতই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে। দেশে কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্য পূরনে এসব আধুনিক মেশিন ও যান বিদেশ থেকে আমদানি করার অনুমতি প্রদান করে থাকেন সরকার। কৃষি উন্নয়নের জন্য এসব পাওয়ারট্রিলার, মাহেন্দ্র মেশিন ক্রয় করা হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা এগুলো দিয়ে যানবাহনে রুপান্তর করে ইট, বালু, মাটি, বাঁশ, কাঁচামাল ও সকল প্রকার পণ্যসহ যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে।

জেলার সচেতনমহল ও প্রশাসন সূত্র জানান, এসব অবৈধ যানবাহন ও চালকের নেই রোডপারমিট, লাইসেন্স।বেপরোয়া গতিতে চলার কারনে যেমন ঘটছে দুর্ঘটনা ঠিক তেমনি পরিবেশ ও শব্দ দূষনের সাথে সাথে দ্রুতই নষ্ট হয়ে পরছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। পরিবেশ ও শব্দ দুষনের কারণে সরকার ২০১০ সালে সারা দেশে সব ধরনের ট্রলি চলাচল অবৈধ ঘোষণা করেন। একি সাথে অবৈধ ট্রলি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের সামনেই অবাধে বিচরণ করছে লাইসেন্সবিহীন চালক দ্বারা চালিত অবৈধ এই যানবাহনগুলো। এসব গাড়ির বিকট শব্দে পথচারী সহ এলাকাবাসীও অতিষ্ঠ।শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে এসব ভটভটি, ট্রলি, নসিমন, করিমন স্হানীয় বাজারের ওয়ার্কশপগুলোতে দেদারছে তৈরি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জামালপুর বিআরটিএ মটরযান পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, এসব যানবাহন ফিটনেসবিহীন অবৈধ । প্রধান সড়কে বা বাণিজ্যিক ভাবে চলাচলের কোন সুযোগ নেই। তারপরেও চলছে। যেহেতু এসব যানবাহনের অনুমোদন নেই, সেহেতু চালকেরও লাইসেন্স থাকার কথা নয়। জনস্বার্থে এটার বাণিজ্যিক বিচরণ বন্ধ হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পেলে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আইন প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধ এই যানবাহন গুলো বন্ধে প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ দাবী করেন পথচারী ও সচেতন মহল ।