ভ্রাম্মমান প্রতিনিধি ->>
সামাজিক যোগাযোগ অতি জনপ্রিয় মাধ্যমে হচ্ছে টিকটক। অল্প কৌশলের অবলম্বন করে জনপ্রিয় পাওয়া জন্য শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী,বৃদ্ধা পুরুষ-মহিলা টিকটককে কাজে লাগিয়ে হচ্ছে ভাইরাল। ভাইরাল হতে গেয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে মানুষ।
সচেতন মহল দাবি করতেছে টিকটকের মধ্যে একশ্রেণী মানুষ আছে।যারা আসলের মানসিক প্রতিবন্ধী পরিনত হয়েছে । তারা টকটকের ভাইরাল হাওয়া জন্য নোংরা জমা কাপড় পরিধান করে তা যা দুগ্ধ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার কেউ ময়লা আবর্জনা ভরপুর নর্দমায় শুয়ে বা নেমে টিকটক করতেছে। মোটর সাইকেল নিয়ে টিকটক করতে নিয়ে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, কেউ গলায় ফাঁস দিয়ে অভিনব কায়দা টিকটক করতে গেছে গলায় ফাঁস লেগে মারা যাচ্ছে। ট্রেনের দৃশ্য নিয়ে টিকটক করার সময় ট্রেনের কাটা পড়ে টুকরো হয়ে গেছে।
অল্প বয়সী তরুণ-তরুণীরা টিকটক ভাইরাসের ফাঁদে পা দিয়ে লেখাপড়া থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। পিতা-মাতা শত বাঁধা দেওয়া ফলে টিকটক নামক ভাইরাস থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। অনেক সময় পিতা-মাতা টিকটক ভিডিও বাঁধা দেওয়া কারণে প্রিয় সন্তানের লাশ দেখতে হচ্ছে। নববধূরা টিকটিক নামক নেশা কারণ সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে।একটি গণমাধ্যমে থেকে জানা যায়, নববধূকে টিকটক করতে বাঁধা দেওয়া কারণে নির্যাতনের নামে শ্বাশুড়ি বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ করা হয়।
একটি মাফিয়া চক্র টিকটক ব্যবহারকে কাজে লাগিয়ে লিপ্ত হচ্ছে মানবপাচারের।চক্রটি সু-কৌশলের বিভিন্ন নামি দামি হোটলের বিশাল আয়োজন করে টিকটক কারীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফাঁদে পেলে।টিকটিক কারীদের বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে বিদেশের প্রচার করা হচ্ছে।
শর্ট-ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়ের পরে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণ-তরুণীরা। টিকটক থেকে টার্গেট করে তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্কে রশি টানতে থাকে কথিত জনপ্রিয় সেলেব্রেটিরা। এই পরিচয় থেকে কিশোর গ্যাং ও মানবপাচারের চক্র গড়ে উঠছে। টিকটক ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়ে এমনই তথ্য আছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে।
ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় টিকটক ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
চলতি বছর টিকটক করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন
চলতি বছরে টিকটক করতে গিয়ে ১০ জন তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার (১৩ জুলাই) সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সংগঠনের বার্তা প্রতিবেদনে জানানো হয় ,গত কয়েক বছর ধরে চীনা শর্ট ভিডিও মেকিং প্লাটফর্ম টিকটক’র অপব্যবহার এতটা বেড়েছে যে, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত ৮ জুলাই নোয়াখালীর চাটখিলে টিকটক ভিডিও বানানোর সময় অসাবধানতাবশত পা পিছলে গেলে সানজিদা আক্তার নামে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়।
সোমবার কুমিল্লায় চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক করতে গিয়ে পা পিছলে মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া টিকটক-কে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের মার্চে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত খুন হয়। গত ২ মার্চ ২০২২ রাজবাড়ী জেলার কালোখালি উপজেলায় রেলব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে টিকটক করতে গিয়ে হোসেন (১৬) নামের একজন ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়।
৮ মে ২০২২ নড়াইলের কালিয়ায় টিকটক করতে বাধা দেওয়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে সুমি আক্তার (১৯)। ১৬ মে ২০২২ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার শহরের লাল ব্রিজের অদূরে হৃদয় (১৫) নামে এক কিশোর বিকেল পাঁচটার দিকে খুলনাগামী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে টিকটক বানাতে গিয়ে কাটা পড়ে। ২২ মে ২০২২ নীলফামারীর সৈয়দপুরে টিকটক করতে গিয়ে নদীতে ডুবে মৃত্যু হয় মুস্তাকিম ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরের।
গত বছর ২০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নির্মাণাধীন তিন তলা ভবনের ৭ থেকে পড়ে অনিল (১৪) বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়। তরুণ-তরুণীদের মৃত্যুর দায়ভার কোনওভাবেই টিকটক কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যেতে পারে না। এর দায়ভার তাদের নিতে হবে।
এ ছাড়াও আরও অনেক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে টিকটক বানাতে গিয়ে, যার সঠিক কারণ নির্ণয় না হওয়া এবং প্রকাশ না পাওয়ায় নাম পরিচয় তুলে ধরতে পারছি না। গত বছরের টিকটক বানানোর প্রলোভনে ভারতে তরুণী পাচার হয়েছিল। গত বছরের জুন মাসে টিকটকের ফাঁদে ফেলে এক তরুণীকেও ধর্ষণ করা হয়। তাছাড়া পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে তার অন্যতম কারণ টিকটক।
আপনার মতামত লিখুন :