ArabicBengaliEnglishHindi

ডিমলায় পানির অভাবে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৭, ২০২২, ৭:০৬ অপরাহ্ন / ৮৯
ডিমলায় পানির অভাবে পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন

রুহুল আমিন,(ডিমলা-নীলফামারী)প্রতিনিধি ->>
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খরায় ফেটে যাচ্ছে আমনের খেত। ভাদ্র মাসের এ সময়ে প্রতিবছর মাঠে বৃষ্টির পানি থাকলেও এবার মাঠ পানিশূন্য। কারণ, এবার আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে আশানুরূপ বৃষ্টি হয়নি। পানির অভাবে আমনের খেত রোদে ফেটে গেছে। পানি না থাকায় আশানুরূপ ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

জমি চাষ, শ্রমিকের মজুরি, তেলের দাম বৃদ্ধি, সার ও কীটনাশকের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। ফলে ধান উৎপাদনে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে সে আশা এখন শুধু স্বপ্ন। খেতে আমনের চারা রোপনের পর এখন পানির অভাবে মাটি ফেটে যাওয়ায় দু:শ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকেরা।উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, কৃষকদের সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, যে সকল কৃষকেরা আমন ধান রোপণ করেছেন, তারা পড়েছেন বেকায়দায়। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন ধানের খেতের মাটি ফেটে চৌচির হয়ে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সেচের মাধ্যমে পানি দেওয়ার সুবিধা থাকলেও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকেরা। ডিজেলচালিত মেশিন দিয়ে একবার সেচের পানি দিতে গেলেও খরচ হয় প্রতি ১০ শতাংশ জমিতে ২৫০/৩০০ টাকা। ফলে নিরুপায় হয়ে ফসল বাঁচাতে কেউ কেউ বাড়তি খরচে জমিতে সেচের পানি দিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (২৭-আগষ্ট/২২) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, রোপা আমন ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। কোথাও বৃষ্টির ছিটেফোটা নেই।এ সময় রোপনকৃত জমি বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন থাকার কথা থাকলেও আবাদি জমি ফেটে একাকার হয়ে আছে। বৃষ্টির আশায় দিন গুনছেন তারা। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন কখন হবে বৃষ্টি। কয়েকজন আবার সেচ পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপন করলেও এখন লোডশেডিং এর কারণে সময়মতো পানি দিতে পারছেন না। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়লেও ভালো ফলনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলার একাধিক গ্রামের মাঠে এখন রোপা আমন ধানের জমি সবুজে ভরে গেছে। তবে, পানির অভাবে অধিকাংশ ধানক্ষেত ফেটে চৌচির। সদ্য রোপন করা ধানের চারা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। অনেক কৃষক মটর ও শ্যালো মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে ধান রোপণ করছেন। কিন্তু জমিতে পানি দেওয়ার সাথে সাথেই আবার জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। তেলের দাম বৃদ্ধি ও ঘন ঘন লোডশেডিং এ এখন পানি দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। এতে তাদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা জানান, এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর চালিয়ে জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে তাদের বাড়তি খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২০ হাজার ৪ শত ৪৮ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী দৈনিক জনতার বাংলা কে বলেন, এবছর চলতি মৌসুমে তুলনামূলক কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপদাহ মোকাবেলা করে আমন চাষ করার বিষয়ে কৃষকদের ডিজেল ও বিদ্যুৎ চালিত পানি সেচ যন্ত্রদ্বারা সেচের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।