দিনাজপুর প্রতিনিধি ->>
প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ভার্রচুলি কয়লা উত্তোলনের কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল ইসলাম বলেন, গত পহেলা মে ১৩১০ নম্বর ফেজ পরিবর্তন করার ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আজ বুধবার পুনরায় ১৩০৬ ফেজে আনায়ন করার ফলে সাময়িকভাবে কয়লার ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ফেজ থেকে নতুন ফেজের যন্ত্রপাতি স্থানান্তর ও সংস্কারকাজ শেষে আগস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেজে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ফলে কয়লার অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনও কমে আসার শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। এতে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন। ৭ দিনের মধ্যে পুরোদমে কয়লা উত্তোালন শুরু হলে প্রতিদিন ২৬শ’ থেতে ৩ হাজার মেট্রিকটন পর্যন্ত কয়লা উদ্ধোলন সম্ভব।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ কয়লা উৎপাদন উদ্বোধন করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে যন্ত্রাংশ অ্যাডজাস্টমেন্টসহ সব প্রক্রিয়া শেষে পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে করোনার কিছু প্রাদুর্ভাব রয়েছে। গত দুইদিন আগে এখানে ৩৫ জন শ্রমিকের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। একইসঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার ১৪৩ জন শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। তাদের রেজাল্ট আজকে আসবে। এই প্রতিবেদনের ওপরে নির্ভর করবে আমরা কীভাবে এবং কোন দিকে এগোব।
তিনি আরও বলেন, খনিতে বর্তমানে ৪০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। আশা করছি পুরোপুরি উৎপাদন চালু হলে প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন কয়লা উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে দেশের বিদ্যুৎ খাতে যে ঘাটতি আছে তা কিছুটা কমে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :