ArabicBengaliEnglishHindi

দিনাজপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৪, ২০২২, ৭:০৪ অপরাহ্ন / ৩৪৬
দিনাজপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা

দিনাজপুর প্রতিনিধি ->>

দিনাজপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ২৫০টি মধ্যে বৈধ মাত্র ২০ টি ইট ভাটায় চলছে সকল প্রকার কার্যক্রম। নিদিষ্ট কিছু ভাটা বন্ধের নিদের্শনা থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডোগায় চলছে ইট তৈরির এবং ইট পোড়ানোর কার্যক্রম।

ইট ভাটা মালিকদের একটি সূত্র জানায় ছাড়পত্রের ঝামেলা সহজেই মিটে যায় ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকায়। পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়ে এই টাকা যাচ্ছে কথায়? এমন প্রশ্নে তারা নিশ্চুপ। কিছু কিছু ভাটার মালিক নিজ নিজ উদ্যোগে পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য নিদিষ্ট চালানে এবং জেলা প্রশাসকের এল আর ফান্ডে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা করছেন।

অপর দিকে প্রশাসনকে ম্যানেজের নামে আদায় করা চাঁদার কোটি কোটি টাকা কারা নিচ্ছে সে তথ্য ভাটা মালিকরা জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে টাকা নেওয়ার জন্য যারা আসে তাদের সোজাসাপটা কথা, কখনোই মুখ খোলা যাবে না। কিন্তু ইট ভাটার লাইসেন্স বা পরিবেশের ছাড়পত্রের বিপরীতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া লাইসেন্স না পাওয়ার অজুহাতে কোটি কোটি টাকার ভ্যাটও আদায় করতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রতিবারের মত এবারও একই কথা অবৈধ ইচ ভাটা বন্ধ সহ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর এটি হচ্ছে চলমান পক্রিয়া।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায় ১৩ উপজেলায় ২৪৫টি ভাটার মধ্যে মাত্র ২০টির পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলো চলছে অবৈধভাবে। অবৈধ হলেও বিরাট এলাকাও বিশাল কর্মযজ্ঞ নিয়েই ভাটা পরিচালিত হচ্ছে। দিনাজপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলায় সর্বাধিক উর্বর জমি হিসাবে বিবেচিত উপজেলা হচ্ছে চিরিরবন্দর। এই উপজেলায় ১০০ টি বেশি ইট ভাটা চালু রয়েছে। আবার একটি ইউনিয়নে ২৫টি বেশি ইট ভাটা থাকার নজির রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন ধরনের আবাদি ফসল আম-লিচুর ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পার্শ্বে অবৈধ ইট ভাটা গড়ে উঠায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সময় ভাটার ধোয়া চোখে পড়ে।

এ ব্যাপারে কয়েকজন ভাটা মালিক বলেন এসব লিখে কি হবে? প্রশাসন সবকিছুই জানে। কেবল আমাদের উপর লুকিয়ে ভাটা চালানোর দায় চাপানো হচ্ছে।কিন্তু আমরা িিঠকই টাকা দিচ্ছি। অথচ এই টাকা সরকারি কোষাগারে না গিয়ে কোথায় যাচ্ছে তা আমাদের জানার কথা নয়। অথচ শর্ত সাপেক্ষে ভাটা করার অনুমতি দিলে সরকার লাভবান হবে। আমরাও শান্তিতে ভাটা চালাতে পারব।