ArabicBengaliEnglishHindi

দুর্গাপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে না না অভিযোগ


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২২, ২০২২, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন / ৪৩৯
দুর্গাপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে না না অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি ->>
নেত্রকোণার দুর্গাপুরের এমকেসিএম পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস.এম আলমগীর হাসান দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বললেও দীর্ঘদিন ধরে নানান তালবাহানায় প্রশাসনিক কার্যক্রম সহ ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

শিক্ষার্থীদের মারধর,অসদাচরণ ও পরীক্ষার খাতায় নাম্বার কম দেয়া, বিভিন্ন অযুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায়, অবহেলায় স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়া ও বাৎসরিক বরাদ্ধ নয়-ছয় করে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস.এম আলমগীর হাসান এর অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ঐ স্কুলের শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা।

এর আগেও বেশ কয়েক বার স্থানীয় সচেতনমহল সহ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও আলোচনায় বসেছেন। তবে গেলো ২৮ শে জুন ২২ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবী মেনে নিয়ে এই স্কুল থেকে স্ব-ইচ্ছায় পদত্যাগ করে অন্য স্থানে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন না, এতে সেখানে নতুন করে প্রধান শিক্ষক আসতে পারছেন না। একজন দায়িত্বশীল প্রধান শিক্ষক না থাকায় যেমন স্কুলের পড়াশোনার মান খারাপ হচ্ছে পাশাপাশি স্কুলের দীর্ঘদিনের সুনামও ক্ষুণœ হচ্ছে। তিনি ৪ মাস যাবত স্কুলে না এসেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করার প্রমান রয়েছে, অথচ দু-জন সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখারও অভিযোগ রয়েছে। কোন অদৃষ্য শক্তির বলে তিনি এমনটা করে যাচ্ছেন তা জানতে চায় শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সচেতন মহল।

গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে ময়মনসিংহ বিভাগের ডিডি স্কুলে উপস্থিত হয়ে এ সকল অনিয়মের তদন্ত করেগেছেন এবং শতভাগ সত্যতাও পেয়েছেন এরও এর কোন সুরাহাই হচ্ছেনা,তাঁর খুটির জোর কোথায় ?

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হাসান অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় আশানুরূপ শিক্ষার পরিবেশ পাঁচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে টালবাহানা করে আসছেন বলে জানায় স্থানীয়রা। এতে সরকারি এ প্রতিষ্ঠান থেকে অভিভাবকরা মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদিকে বিদ্যালয়ের স্কুল ক্ষক সহ মাঠে থাকা শহীদ মিনারটি ও অপরিষ্কার অপরিছন্ন। এছাড়াও স্কুল মাঠে গরু-ছাগল চারণ করা হয়ে থাকে।

শিক্ষার্থীর অনেক অভিভাবক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে থাকা আলমগীর হাসান শিক্ষার্থীদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করেন, শিক্ষার্থীদের মারধরও করেন। যেসব ভাষায় গালাগাল করেন তা বলার মতো না। এই বিদ্যালয়ে আমাদের সন্তানের পড়াশোনার ভালো পরিবেশ দেখছি না। শুধু তাই নয় আমরা অভিভাবকরা কখনও কখনও স্কুলে গেলে আমাদের সাথেও খারাপ আচরণ করনে তিনি।

এ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস.এম আলমগীর হাসান এর সাথে কথা বলতে ওনার মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সচেতন মহলের জোর দাবী তাঁকে অভিলম্বে এই বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা হউক।