মো: সেলিম, নোয়াখালী প্রতিনিধি ->>
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় সংবাদ প্রচারের জের ধরে এক সাংবাদিক কে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে মামুন নামের এক সন্ত্রাসী। হুমকি দাতা মামুন সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের খায়ের উল্যার বাড়ির ইমাম উদ্দিনের ছেলে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হুমকি প্রাপ্ত সাংবাদিক মোঃ সেলিম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার ও দৈনিক জনতার বাংলা পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এনকে বার্তা টোয়েন্টিফোর নামক একটি অনলাইন পোর্টাল পরিচালনা করেন।
সাংবাদিক সেলিম বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া ১২ বছর বয়সী একটি কন্যাশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে শিশুটির পরিবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নালিশ দিলে তারা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি রফাদফা করার চেষ্টা করে এবং ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য শিশুটির পরিবারকে হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে এ ঘটনা আমার কানে এলে আমি সরেজমিনে তদন্ত করে সকল প্রকার তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গত ১৮ এপ্রিল একটি ভিডিও নিউজ প্রকাশ করি। ভিডিওটি প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোষ্ট কের আমার সম্মান ক্ষন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে অভিযুক্তরা। ফেসবুক পোষ্টে অপ-প্রচারের পর গত (২৪ এপ্রিল) রোববার রাত ১২.৩৩ মিনিটে “০১৮৮৭৯৬৫২৮৭” এই নাম্বার থেকে আমার ব্যক্তিগত নাম্বারে একটি কল আসে। আমি কল রিসিভ করার সাথে সাথে কলের অপরপ্রান্তে থাকা মামুন নামের এক ব্যক্তি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। আমি তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি তোর বাপ হই, তুই এখনো আমার ফুফার ভিডিওটি ডিলিট করিস নি কেন! তুই যদি ভিডিওটি ডিলিট না করিস তাহলে তুই এলাকায় কিভাবে থাকিস আমি তা দেখে নিবো। আমি তোকে তোর অফিস থেকে উঠিয়ে এনে মারবো মাদারচোদ। তুই কতবড় সাংবাদিক আমি সেটা দেখে নিবো। তোর সাহস থাকলে তুই অশ্বদিয়ায় আসিস, আমি তোর হাড়গোড় সব এক করে ছাড়বো।
সাংবাদিক সেলিম বলেন, আমি তার হুমকি পেয়ে মঙ্গলবার রাতে কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি (যাহার নং-৯৯৭, তাং ২৬/০৪/২০২২)। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এর কারণে আমার স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হচ্ছে। তাই হুমকি দাতা মামুন কে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :