নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর হোসনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশপাশের শিয়া সম্প্রদায় কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
আশুরার আয়োজন নির্বিঘ্নে পালনে ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সসদস্যদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আশুরাকে ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই বলেও এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোসনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশপাশের শিয়া সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন। নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন র্যাব সদস্যরাও।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন আয়োজকরা। এর আগে মিছিলের মহড়া দিয়েছেন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। এরপর সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে তাজিয়া মিছিল। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ মিছিল আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সাইন্সল্যাব, জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি ২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আশুরায় মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বকশিবাজার, লালবাগ, ফরাশগঞ্জ, পল্টন, মগবাজার থেকেও তাজিয়া মিছিল বের হয়। তবে হোসনি দালান থেকে বের হয় সবচেয়ে বড় মিছিলটি। হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে তাজিয়া মিছিল। লাল-কালো আর সবুজ অক্ষর-খচিত নিশান হাতে তারা খালি পায়ে মিছিল বের করেন। মিছিল থেকে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে শোকের আবহ ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।
এদিকে তাজিয়া মিছিল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দা, ছুরি, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :