ArabicBengaliEnglishHindi

পবিত্র মহররম মাসের গুরুত্ব ও ফজীলাত


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩, ২০২২, ৮:৫৭ অপরাহ্ন / ৩৫১
পবিত্র মহররম মাসের গুরুত্ব ও ফজীলাত

মাওলানা শামীম আহমেদ –

মহররম হিজরি বর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এ মাসকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটি সম্মানিত চার মাসের (‘আরবাআতুন হুরুম’) অন্যতম। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তওবা ইস্তিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’-এর রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে- রাত্রিকালীন নামাজ।-(সহিহ মুসলিম, ১১৬৩)

মহরম মাসের রোজার ফজিলত:

মহররমের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত অনেক বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মোচন করে। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী: “আমি আল্লাহর নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করছি আরাফার রোজা বিগত বছর ও আগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে। আরও প্রত্যাশা করছি আশুরার রোজা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা করবে।”[সহিহ মুসলিম (১১৬২)]

আশুরার রোযা সম্পর্কে এক হাদীসে আছে যে, ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’

সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল কে মহরম মাসের আশুরার এই দুইটি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন।

আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন।