সোহানুর রহমান সোহাগ ->>
চলতি মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় “সোনালী আঁশ” পাটের ব্যাপক ফলন হয়েছে।
এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কৃষকরা এখন পাট কাটা,জাগ দেয়া বা পচানো ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছরের চাইতে ফলন বিঘাপ্রতি বেশি হওয়ায় এবং শুরুতেই ভালো দাম পাওয়ায় স্বস্তি ও খুশি এই অঞ্চলের মানুষ।
গত বছর এই সময় পাটের দাম ছিলো ১৭০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। কিন্তু এবছর শুরু থেকেই দাম পাওয়া যাচ্ছে ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত। তাতে করে বিঘাপ্রতি লাভ হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘাপ্রতি পাটখড়ি বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। তাহলে সব মিলিয়ে কৃষকের লাভ বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।
বর্তমান সময়ে এই অঞ্চলের মানুষ পাটধোয়া ও শুকানোর কাজে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল সকাল গৃহের সকল কাজ কর্ম শেষ করে বাড়ির মহিলারাও পাট শুকানোর কাজে সাহায্য করছেন। চলতি মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানি থাকায় পাট কেটে পচানো বা জাগ দিতে সুবিধা হচ্ছে কৃষকের।
এই অঞ্চলের কৃষক শাহ আলম এর সাথে কথা বললে সে বলেন, বর্তমানে সার বীজ তেল থেকে সবকিছুর দাম বাইড়া গেছে। সরকার যদি এইগুলার দান কমাইয়া না দেয় তাহলে আমাদের আবাদে কোনো লাভ হইবো না। তাই সরকারের কাছে আমাদের আবেদন,, হয় সব কিছুর দাম কমাইয়া দিক না হয় আমাদের ফসলের দাম বাড়াইয়া দিক।
এখন কৃষকদের একটাই জোর দাবী কৃষকদের বাঁচাতে হলে অবশ্যই কৃষিখাতে জড়িত সব কিছুর দাম কমাতে হবে এবং তাদের ভর্তুকির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই হয়তো এই দেশের কৃষিখাত কে রক্ষা করা সম্ভবপর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :