নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
পাহাড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে সঙ্কটে পরিবেশ অধিদপ্তর। মূলত পরিবেশ আইনে পর্যাপ্ত আইনি পদক্ষেপ না থাকায় পাহাড় কাটা কিংবা পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আইনে পাহাড় কাটলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কত বছরের সাজা দেয়া হবে কিংবা পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। ফলে পরিবেশ রক্ষাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদপ্তর পাহাড় ব্যবস্থাপনা নিয়ে সঙ্কটে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূমিদস্যূরা বিগত দুই যুগে গ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং শহরে ৬০ শতাংশ পাহাড় কেটে ধ্বংস করেছে। নগরীর পাহাড়তলী, খুলশী, বায়েজিদ, লালখান বাজার, মতিঝরনা, ষোলশহর ও ফয়’স লেক এলাকা থেকে বেশির ভাগ পাহাড় কাটা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৪০ বছর আগে ২০০টি পাহাড় থাকলেও আজ তার ৬০ শতাংশই বিলুপ্ত। বিদ্যমান পরিবেশ আইনে পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ে সব দিকনির্দেশনা এবং করণীয় উল্লেখ থাকলেও চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা পাহাড়ি অধ্যুষিত হওয়ার কারণে আলাদা করে বিস্তারিত কিছু আইনে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা অথবা জরিমানা করেই তাদের দায়িত্ব সারছে।
সূত্র জানায়, পরিবেশ আইনে পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণ কী ধরনের সাজা দেয়া যাবে সে বিষয়ে আইনে কোনো উল্লেখ নেই। আর সুস্পষ্ট আইন না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো পাহাড় কাটা এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। আর পাহাড়সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা ওই সুযোগ নিয়ে বারবার পাহাড় কাটছে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাহাড় কাঁটার সঙ্গে জড়িত। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ২০১০ অনুযায়ী পাহাড় কাটলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। কিন্তু পাহাড় রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে পরিবেশ আইনে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :