ArabicBengaliEnglishHindi

পিডিবিএফ চলে চাকুরীচ্যুত বজুলর রশিদের কথায়


প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০২২, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন / ১৪৯
পিডিবিএফ চলে চাকুরীচ্যুত বজুলর রশিদের কথায়

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা দারিদ্র বিমোচন (এডিবিও) দায়িত্ব পালনকালে অবহেলা, অদক্ষতা, অফিস শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অর্থ আত্মসাৎ, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর সুনামের পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বজলুর রশিদের নামে ২০০৯ সালে একটি অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় মামলা রুজি হয়। মামলা নম্বর ৪২/২০০৯ এবং পিডিবিএফ এর উপকারভোগী সদস্যদের সাথে অনৈতিক আচরণ এবং পিডিবিএফ দেবীগঞ্জ উপজেলার কর্তকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অনৈতিক আচরণের জন্য ২০১১ সালে আরেকটি অভ্যন্তরিন মামলা দায়ের হয়, মামলা নং-৬৭/২০১১।

এ দু’টি বিভাগীয় মামলায় আনীত সকল অভিযোগসমূহ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ২০১২ সালের মে মাসে বজলুর রশিদকে পিডিবিএফ এর চাকুরী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। আর বর্তমানে তার কথায় চলছে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন পিডিবিএফ।

উল্লেখ্য, বজলুর রশিদ ১৯৯৯ সালে মাঠ সংগঠক (১৪ গ্রেড) হিসাবে পিডিবিএফ এ চাকুরী জীবন শুরু করেন। চাকুরীর শুরু থেকেই সে অনৈতিক পন্থায় পিডিবিএফ এর উপকারভোগী সদস্যদের সঞ্চয়ের টাকা আত্মসাৎ, পিডিবিএফ এর উপকারভোগী সদস্যের নামে ভূয়া ঋণ বিবরণ দেখিয়ে নিজেই উক্ত ঋণের টাকা আত্মসাৎ, শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে বিভিন্ন কৌশলে পিডিবিএফ এর ঋণ জালিয়াতি ইত্যাদি কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তার চাকুরী জীবন শুরু হয়।

এহেন কর্মকান্ডের জন্য বজলুরের অযোগ্যতা, অদক্ষতা, ভূয়া স্বাক্ষরে উপকারভোগী সদস্যদের সঞ্চয়-জামানত আত্মসাৎ ইত্যাদি কর্মকান্ডের জন্য ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পিডিবিএফ থেকে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। এছাড়াও, শাখা ব্যবস্থাপক হিসাবে উপকারভোগী সদস্যদের নাম দিয়ে নিজ নামে ঋণ গ্রহণের জন্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, ঠাকুরগাঁও কর্তৃক ২০০৯ সলের আগষ্ট মাসে পিডিবিএফ প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।

একই ভাবে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে উপকারভোগী সদস্যদের নামে ঋণ মঞ্জুরী দেখিয়ে ঋণের টাকা আত্মসাৎ এর জন্য পিডিবিএফের প্রধান কার্যালয় থেকে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে পুনরায় তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়।

পিডিবিএফ দেবীগঞ্জ উপজেলার চাকুরীচ্যুত ভারপ্রাপ্ত শাখা ব্যবস্থাপক, বজলুর রশিদ চাকুরী পুর্নবহালের জন্য একটি আবেদন করেন, যাহার মামলা নং-৪২/২০০৯ এবং ৬৭/২০১১। বজলুর এ আবেদন পিডিবিএফ কর্তৃপক্ষ খারিজ করে দেন, যাহার স্মারক নং-৩৮৯৩, তারিখ: ০৮/০৭/২০১২।

এছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি চাকুরী পুর্নবহালের আবেদন করলে পিডিবিএফ কর্তৃপক্ষ তার আপীল বিবেচনার কোন সুযোগ নেই মর্মে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বজলুর রশিদ হাইকোর্টে পিডিবিএফ এর আদেশের বিরুদ্ধে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন, যাহার রীট পিটিশন নং-১১২৭৯/২০১২। বর্তমানে যা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলা বিচারাধীন রয়েছে, আপীল সিপিএলএ মামলা-২০৩০/২০১৮।

পিডিবিএফের একটি স্বার্থন্বেষী মহল বজলুর এর সকল তথ্য গোপন করে এবং পিডিবিএফের বোর্ড সভাপতিকে অবহিত না করে বজলুর রহমানকে পূণরায় পিডিবিএফ এর চাকুরীতে বহাল করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যায় বলে জানা যায়। এ সংবাদে পিডিবিএফের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশার সৃষ্টি হয়।

যে প্রতিষ্ঠান নিজে আয় করে নিজের ব্যয় নির্বাহ করে, এমন প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না হলে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের বৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির মুখ অচিরেই থুবরে পড়বে বলে সকলে জানান। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, পিডিবিএফ এর বোর্ড সভাপতিকে পাশ কাটিয়ে বজলুর রহমানকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকুরীতে পুর্নবহালের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন পিডিবিএফের এর একটি পক্ষ।

পিডিবিএফ এর কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গোপন সুত্রে জানা যায়, বর্তমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদারের বজলুর রহমানের সাথে রয়েছে কঠিন সখ্যতা এবং বজলুর রশিদের কথা মোতাবেক তিনি হাটছেন যা পিডিবিএফের কখনো মঙ্গল বয়ে আনবে না বলে জানা যায়।

বজলুর রশিদ যা বলেন বর্তমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাই করেন। কাকে কোথায় বদলী করতে হবে কাকে কি করতে হবে সব চলে ওই বজলুর রশিদের কথায়।

সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমিনুলের সময় বজলুর রশিদ পিডিবিএফের আশে পাশে আসতে পাওে নাই। কিন্তু বর্তমানে ওই বজলুর রশিদদের কথায় চলছে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ)।