ArabicBengaliEnglishHindi

ফুলবাড়ীতে একই স্থানে কবরস্থান ও শ্বশান


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২, ৫:৫২ অপরাহ্ন / ৯৩
ফুলবাড়ীতে একই স্থানে কবরস্থান ও শ্বশান

দিনাজপুর প্রতিনিধি ->>
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একই জায়গায় কবরস্থান ও শ্বশান হওয়াকে কেন্দ্র করে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মালম্বলী দুই গ্রামবাসীদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নে পুখুরীহাট নীলপুকুর গ্রামে।

এঘটনায় উভয় গ্রামবাসী ফুলবাড়ী থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রামবাসীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও আভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নে পুখুরী মৌজার নীলপুকুর গ্রামের ১১৪১ নং দাগের সরকারী খাস জমিতে,মদন পুকুর নামে একটি পুকুর পাড়ের জমি শ্বশান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন পুখুরী হাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বলী জনগোষ্টি ।

অপরদিকে ওই পুকুুরের অপর পাড়ে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন নীলপুখুর গ্রামের একাংশের মুসলিম ধর্মালম্বলী গ্রামবাসীরা। এ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দির্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে,এরেই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার নীলপুখুর গ্রামের মজিদুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তির মায়ের মৃত্যু হলে তাকে দাফন করতে গেলে, হিন্দু ধর্মালম্বীরা শ^সানের জমি দাবী করে সেখানে কবর দিতে নিষেধ করলে,দুই গ্রামবাসীর মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই হিন্দু ধর্মালম্বলী গ্রামবাসীদের পক্ষে পুখুরি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কাজল চন্দ্রর ছেলে দুলাল চন্দ্র বাদী হয়ে,নীলপুখুর গ্রামের বাসীন্দা মুসলিম ধর্মালম্বলী মজিদুলসহ ৪জনকে বিবাদী করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপরদিকে একই ঘটনায় এর আগে হিন্দু ধর্মালম্বী দুলালসহ কয়েক জনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন নীলপুখুর গ্রামের মো: মজিদুল ইসলাম।

পুখুরী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের হিন্দু ধর্মালম্বী বাসীন্দারা বলছেন পুকুরটি সরকারী খাশ জায়গায়,কাগজে হিন্দু ধর্মালম্বলীদের ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই তারা দির্ঘদিন থেকে এই পুকুরটির পাড় শ্বশান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

অপরদিকে নীল পুকুর গ্রামের মুসলিম ধর্মালম্বলী মজিদুলসহ গ্রামবাসীরা জানায়,এই জায়গাটি সরকারী খাশ খতিয়ানের জায়গা,এই জায়গায়টি তারা দির্ঘ ৫০ বছর থেকে কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা ওসি আশ্রাফুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি যেহেতু ধর্মিও বিষয় তাই তিনি উভায় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দ্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে জমির মাঝখানে একটি সীমানা প্রাচির দিয়ে বিষয়টি চিরস্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন।