ArabicBengaliEnglishHindi

ফেন্সিডিলের বোতল ও দূর্গন্ধে ভরা পত্নীতলা উপজেলা চত্বর


প্রকাশের সময় : মে ১৬, ২০২২, ৭:০৮ অপরাহ্ন / ৬৬
ফেন্সিডিলের বোতল ও দূর্গন্ধে ভরা পত্নীতলা উপজেলা চত্বর

স্টাফ রিপোর্টার ->>
পত্নীতলায় অপরাধ মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন এলাকা বলতে সাধারণত উপজেলা চত্বরকেই বুঝায়। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে সেই উপজেলা চত্বর এলাকাবাসীর কাছে নিরাপদ নয়।

কেননা ফেন্সিডিলের বোতল ও দূর্গন্ধে ভরে আছে পত্নীতলা উপজেলা চত্বর। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ের পিছনে বেশ কিছু ফেন্সিডিলের ফাঁকা বোতল পড়ে আছে।

অপরদিকে উপজেলা চত্বরের মূল রাস্তার পাশে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এবং ময়লা আবর্জনা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর উক্ত এলাকায় বসবাস করা কষ্টস্বাধ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলা চত্বরের পূর্ব গেটের পার্শ্বের আবাসিক পাঁচতলা ভবণের মল- মুত্র এসে রাস্তার পথচারীদের যেমন কষ্ট দিচ্ছে তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বলেন, আমরা আগে ভাবতাম চত্বরটি আমাদের কাছে নিরাপদ।

যার ফলে আমরা উপজেলার আশে পাশে বাসা তৈরী করি এবং অনেকেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করি, যাতে আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপদে মানুষের মতো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারি। কিন্তু আজকাল আমাদের সেই উপজেলা চত্বরটিও আমাদের কাছে নিরাপদ নয়।

ইদানীং দেখা যাচ্ছে উপজেলা চত্বরের মধ্যেই মাদক সেবন হচ্ছে। উপজেলার ভিতর দিয়ে মূল রাস্তার পার্শ্বে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা আছে তা পরিচ্ছন্ন নয়। ড্রেনের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার ফলে ড্রেনে থাকা ময়লা- আবর্জনা পঁচে দূর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে।

শুধু তাই নয় উপজেলার মূল গেটের পাশে ৫ তলা আবাসিক ভবণের মল-মূত্রের নাপাক বা অপবিত্র পানি সরাসরি মূল রাস্তায় আসে। যা আমাদের রাস্তা চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। আমরা প্রশাসনের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে উপরোক্ত বিষয় পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে নজিপুর পেীর মেয়র রেজাউল কবীর চেীধুরীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত ) ও সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) মো: রাশেদুল ইসলাম জানান, উপজেলা চত্বরে ফেন্সিডিল বোতলের বিষয়ে আমার জানা নেই।

যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে আমরা উপজেরা চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করবো। পরিবেশ দূষণের বিষয়টি আমরা খুব দ্রুত সমাধান করার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।