ArabicBengaliEnglishHindi

বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৪, ২০২২, ৮:১১ অপরাহ্ন / ১৬৫
বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে

কক্সবাজার প্রতিনিধি ->>
বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে

রোববার সকাল থেকেই ট্রালারভর্তি ইলিশগুলো ঝুড়িতে করে এনে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য আড়তে ফেলছেন শ্রমিকরা। এরপরই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে আড়তদারদের।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

সেখান থেকে দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন। ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহনের ছাদে করে সাগরের এসব ইলিশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তারা এতে অনেক খুশি। এক-একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর পন্টুনে ইলিশ দেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১ কেজির বেশি (১২০০ গ্রাম) ওজনের ইলিশ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের ইলিশ (৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।

এ ছাড়া বড় আকারের ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা, মাঝারি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ও ছোট (২০০ গ্রাম) ৫০০ টাকা।

কক্সবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি টুটুল বলেন, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

মসজিদ নির্মাণ কাজে আর্থিক সাহায্যের আবেদন

 

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১২টায় শেষ হয় বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূল দিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যেতে শুরু করেছে অসংখ্য ট্রলার।

জানা যায়, কক্সবাজার জেলা সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় সাগরে মাছ ধরার ট্রলার আছে।

ট্রলারের জেলেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের ৪০-৬০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেললেই ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। চার-পাঁচ দিনের মাথায় এই ইলিশে সয়লাব হবে হাট-বাজার।

শনিবার দুপুরে শহরের বাঁকখালী নদীর ফিশারীঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে শত-শত ট্রলার। জেলেরা ট্রলারে বরফ, জ্বালানি তেল ও পাঁচ-সাতদিনের খাবারের (রসদ) মজুত করছেন। কেউ কেউ মাছ ধরার জাল সংরক্ষণ (গুছিয়ে) করছেন। কিছু কিছু ট্রলার নদী থেকে সাগরের দিকে রওনা দিয়েছে।

শহরে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে, সাগরও উত্তাল। বৈরী পরিবেশে সাগরে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন জেলেরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ৬৫ দিনের (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত) সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ শনিবার দিবাগত রাত ১২টায়। এরপর থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সাগরে নেমে পড়বে মাছ ধরতে। এবার আহরিত ইলিশের আকার ও ওজন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।