বরিশাল জেলা প্রতিনিধি ->>
বরিশাল নগরীতে সিএনজিচালিত গণপরিবহনেও গলাকাটা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে ১০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা, ৫ টাকার পরিবর্তে ভারা ১০ টাকা নেওয়ায় যাত্রীদের ক্ষোভ।
ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিকদের ডাকা ধর্মঘট গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। গত সোমবার থেকে নতুন ভাড়ায় পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে।
নগরীতে ডিজেলচালিত গাড়ির ভাড়া বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছে গ্যাসচালিত তিন চাকার গণপরিবহনও। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেয়ায় যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।
প্রয়োজনের তাগিদে বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
বিআরটিএ বারবার বলছে, সিএনজি, অকটেন ও পেট্রোলচালিত যানবাহনের ক্ষেত্রে নতুন ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে (সিএনজি) চলা পরিবহনেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন যাত্রী পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে বাড়তি ভাড়া গোনাতে অধিকাংশ যাত্রীর কন্ঠে অসহায়ত্বের সুর।
যাত্রীরা বলছেন, তাদের আয় বাড়েনি, কিন্তু ছোট ছোট পরিবহনেও ভাড়া বেড়েছে। এটি তাদের ওপর একটি বিশাল চাপ তৈরি করে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল নগরীর সদর রোড থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভাড়া নিতো ১৫ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। হাতেম আলি চৌমাথা থেকে লঞ্চঘাটের ভাড়া নিতো ১০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড ভাড়া নিতো ১৫ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে হাতেম আলি চৌমাথা পর্যন্ত ভাড়া নিতো ১০ টাকা, এখন নেয়া হচ্ছে ১৫ টাকা। এ দিকে লঞ্চঘাট থেকে বিবির পুকুর পাড়ে ৫ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১০ টাকা,৷ জেলখানার মোড় থেকে বিবির পুকুর পাড়ে ৫ টাকার ভাড়া রাখা হচ্ছে ১০ টাকা, বটতলার মোড় থেকে কাকুলির মরে রাখা হচ্ছে ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে যাত্রীদের ক্ষোভ সৃষ্টি।
এ ব্যাপারে নিল অটোরিকশার পেসেনদার রফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল নগরীতে অটো চালকরা অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি করতেছে, ১০ টাকার ভাড়া এখন ২০ টাকা নিচ্ছে ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকা নিচ্ছে, আমি এই ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি, প্রতিটি গাড়িতে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হোক, সিএনজি-অটোরিক্সার সামনে ভাড়া নির্ধারণ করে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হোক, তাহলে আর পথে পথে যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।
সদর রোড এলাকার বাসিন্দা আফি ইসলাম জানান, ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালকেরা যাত্রীদের নানাভাবে হেনস্তা করেছেন। যাত্রীস্বার্থ দেখার কেউ আছে বলে মনে হয় না। বর্তমানে সব পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিতে জনগণের কষ্ট হচ্ছে। সরকারের এ বিষয়ে ভাবতে হবে।
এভাবে প্রায় প্রতিটি সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চালকরা সম্মিলিতভাবে নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে নিয়েছে, যা প্রায় ৩৩-৫০%। নিরূপায় যাত্রীরা এ অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সিএনজি চালকদের কথা কাটাকাটির দৃশ্যও দেখা যায়।
এ ব্যাপারে সিএনজি ড্রাইভার (ছদ্মনাম) পলাশ বলেন, আমাদের কাছে থেকে শ্রমিক কল্যাণে নামে প্রতিদিন ২০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়, এই টাকা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নিয়ে থাকেন, এই টাকা দিয়ে কি শ্রমিক কল্যাণ এর কাজ করেন তারাই ভালো জানেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যদি প্রতি গাড়িতে ভাড়া নির্ধারণ করে স্টিকার লাগিয়ে দিত তাহলে আমাদের পথে পথে যাত্রীদের সাথে ঝগড়া ঝাটি করতে হতো না
আপনার মতামত লিখুন :