ArabicBengaliEnglishHindi

‘বাক্সবন্দি হাদিসুর’ নিথর দেহ আনা হচ্ছে মাতৃভূমিতে


প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০২২, ১:৫৯ অপরাহ্ন / ৭৫
‘বাক্সবন্দি হাদিসুর’ নিথর দেহ আনা হচ্ছে মাতৃভূমিতে

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান->>

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রুশ হামলার শিকার বাংলাদেশি পতাকাবাহী বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের (৩৩) মৃতদেহ বাংলাদেশে পৌঁছবে কাল ১৩ মার্চ রোববার। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাখাওয়াত হোসাইন জানান, হাদিসুরের মৃতদেহ প্রথমে ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে মালদোভায় পৌঁছেছে। সেখানে ইমিগ্রেশন শেষে মালদোভায় বাংলাদেশের রোমানিয়া কনসালটেন্ট মৃতদেহটি গ্রহণ করেছেন। এখন মরদেহবাহী গাড়িটি রোমানিয়ায় পৌঁছেছে। এরপর রাজধানী শহর বুখারেস্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার ১৩ মার্চ টার্কিশ এয়ারলাইনসে রাত ৮টার দিকে মরদেহটি ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে জলসীমায় নোঙর করে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি উদ্ভূত হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক-ক্রু নিয়ে ওখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) রাত ৯টা ২৫ মিনিট জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিস্ফোরণে মারা যান জাহাজটির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জাহাজে আটকে থাকা বাকি ২৮ নাবিক-ক্রু।

এরপর টাগবোটের সাহায্যে তাদেরকে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় তীরে আনা হয়। তাদের রাখা হয় ইউক্রেনের অলভিয়া এলাকার একটি বাংকারে। সেখান থেকে শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় সড়কপথে যাত্রা শুরু করেন। রবিবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ২৮ নাবিক-ক্রু রোমানিয়ার একটি হোটেলে পৌঁছান।

গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিক-ক্রু দেশে ফিরেছেন। বুখারেস্ট থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে এদিন দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তারা।