বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর মাংস-মুরগি-ডিম ও সবজির

নিজস্ব প্রতিবেদক ->>
ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি,ডিম,সবজি ও গরুর মাংসের।তবে কমেছে আলুর দাম।
এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
শুক্রবার ৪রা ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর মিরপুর কালশী বাজার,পল্লবী বাজার ও
মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা, (গোল) বেগুন ৭৫ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪৫ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৩০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪৫ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাঁজর প্রতিকেজি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-১১০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, লতি ৬৫ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, শালগম ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, কচুর লতি ৬৫ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪৫ টাকা।তবে এ সব বাজারে পুরান ও নতুন আলুর দাম কমেছে।
নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫থেকে ১৬ টাকা। পুরান আলুর কেজি ১০ থেকে ১৪ টাকা। ৫ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
দাম কমেছে পেঁয়াজের। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩৪ টাকা কেজি। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৬ টাকা কেজি।
বাজারে চায়না রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬২ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০২টাকা।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল। ইন্ডিয়ান ডালের কেজি ৯৫ টাকা। গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি ডালের কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৯ টাকা। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮১ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৮ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮৪ টাকায়।
ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ডিমের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। খুচরা দোকানে আরও ২ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫২ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি।
বাজারের মুরগি বিক্রেতা আ: কুদ্দুস মিয়া “দৈনিক জনতার বাংলাকে” বলেন, মাসের শুরু এবং শুক্রবার থাকায় মুরগির দাম বেড়েছে।
বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬১৫ টাকা। গত সপ্তাহে মাংস বিক্রি হয়েছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি।
১১ নম্বর বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মো: সাইফুল বলেন, আমরা আগে যখন কম দামে গরু কিনেছি তখন কম দামেই বিক্রি করেছি। বর্তমানে হাটে গরুর দাম বেড়ে গেছে, এ কারণে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম।