ArabicBengaliEnglishHindi

বিএনপি ক্যাডার জাহাঙ্গীর ও রিপন মিয়া এখন আওয়ামী লীগ নেতা


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২২, ৩:০২ অপরাহ্ন / ৩৪৫
বিএনপি ক্যাডার জাহাঙ্গীর ও রিপন মিয়া এখন আওয়ামী লীগ নেতা

আনিছ মাহমুদ লিমন ->>
(ছাত্রদলের এক সময়ের সক্রিয় কর্মীরা তথ্য গোপন করে হয়েছে এখন আওয়ামীলীগ নেতা। প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও ষড়যন্ত্রকারীরা টাকা দিয়ে তথ্য গোপন করে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করে হাতিয়ে নিচ্ছে পদ। তাদের ষড়যন্ত্রে মূল আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতারা হচ্ছে অবহেলিত। কিশোর গ্যাং লিডার জাহাঙ্গীর সরকার ও রিপন মিয়ার কাছে উত্তরখানের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। তাদের অবৈধ টাকার ঝলকানীতে প্রশাসনের চোখে কাঠের চশমা।)

রাজধানীর উত্তরখান একটি আওয়ামীলীগের ঘাটি বলে পরিচিত হলেও এখানেও এখন চলছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মূল আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারীদের আগমনের মধ্য দিয়ে। এক সময়ের তুখোড় বিএনপি’র কর্মী সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর সরকার নিজের তথ্য গোপন করে প্রথমে ছাত্রলীগে প্রবেশ করে পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ম্যানেজ করে হয়ে গেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪৯ নং সদস্য। অন্যদিকে সাবেক মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সন্ত্রাসী রিপন মিয়া তথ্য গোপন করে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ করে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বনে যায়। তাদের প্রচন্ড দাপটে এখন মূল আওয়ামীলীগের ত্যাগী ।

নেতাকর্মীরা রয়েছে কোনঠাসা হয়ে। তারা আওয়ামীলীগের তকমা লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে আতাত করে বিভিন্ন কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে অনুপ্রবেশকারী রিপনের নেতৃত্বে। উত্তরখান মুন্ডা জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইনভাইট কোম্পানীতে নিজের পেশি শক্তির অপব্যবহার করে তাদের নিকট থেকে কাজ ভাগিয়ে নিয়ে বালুর ড্রেজিং সহ বিভিন্ন কাজ করছে সম্পূর্ণ বিএনপি সিন্ডিকেট নিয়ে অনুপ্রবেশকারী রিপন মিয়া ও জাহাঙ্গীর সরকার। আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতৃবৃন্দের সাথে দূর্ব্যবহার করে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে উত্তরখান আটিপাড়া, রাজবাড়ী, বড়বাগ, খ্রিষ্টানপাড়া সহ সকল এলাকায় দেদার্সে চালাচ্ছে মাদক ব্যবসা সহ চাঁদাবাজীর তচ্ছব। এ বিষয় নিয়ে অনুপ্রবেশকারী জাহাঙ্গীর সরকার ও রিপন মিয়ার বাড়ীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা পারিবারিকভাবে সবাই বিএনপি করে এবং বিএনপি’র সকল মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে। রিপন মিয়ার মা এবং বোন বিএনপি’র সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয় ভাবে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কেউ তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তার আর রক্ষা নেই। বিভিন্ন সময়ে থানা পুলিশের কাছ থেকে সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার রিপনকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার মা ও বোন। ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিব হাসান সন্ত্রাসী রিপনের খালুর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এই পরিচয় দিয়ে এমপি হাবিব হাসানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করে আসছে রিপন সহ তার কিশোর গ্যাং চক্র।

 

No description available.

 

রিপন মিয়ার নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র মামলা সহ মার্ডার মামলা রয়েছে। উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে রয়েছে তার দহরম মহরম সম্পর্ক। লোক মুখে শোনা যায় উত্তরখান থানার নতুন ভবনের অফিসার ইনচার্জের রুমটি ফার্ণিচার সহ অন্যান্য দামী অনেক কিছু দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে জাহাঙ্গীর সরকার ও রিপন মিয়া। ওসিকে নিয়মিত মাসোয়ারা দেয় বিধায় রিপন মিয়া অনেক মামলার ফেরারী আসামী হয়েও ঘুরে বেড়ায় সবার নাকের ডগায়। অন্যদিকে জাহাঙ্গীর সরকারের মূল ব্যবসা হচ্ছে জমির দালালী করা। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বেশ কিছু জমিজমা জালজালিয়াতী করেছে বলে অভিযোগ আছে। উত্তরখান মাউছাইদে ময়লা নিস্কাশনের দায়িত্বে থাকা পরিচ্ছন্ন কর্মী মোশাররফকে ইয়াবা খাওয়াইয়া জাহাঙ্গীর সরকার তাকে বাড়ী বিক্রি করতে বাধ্য করে। এই অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদের প্রতিবেদককে জানান, এ রকম অনেক বিএনপি আওয়ামীলীগে আছে। আওয়ামীলীগ নেতারা টাকা খেয়ে এদেরকে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এ বিষয় নিয়ে উত্তরখান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাছিম এবং সাধারণ সম্পাদক ইছহাক আহমেদ রনি কিভাবে এসব সন্ত্রাসীদেরকে দলে ঠাই দিয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানায়, আমাদের কাছে মানুষ মাপার যন্ত্র নেই, কেউ যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য গোপন করে তার জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবে।

উত্তরখান থানার একজন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা সংবাদের প্রতিবেদককে জানান, নাছিম এবং রনিকেও জিজ্ঞাসা করা উচিৎ কি সুবিধা নিয়ে এসব অনুপ্রবেশকারীদেরকে দলে স্থান দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে আরোও জানা যায়, সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ করতে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের এলাকায় হিড়িক পড়ে যায় জাহাঙ্গীর ও রিপনের নেতৃত্বে। এরা মুখে জয় বাংলার শ্লোগান বললেও অন্তরে রয়েছে মীরজাফরের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। মূলত জাহাঙ্গীর সরকার ও রিপন মিয়ার আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করার মূল বিষয় হচ্ছে এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজী সহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী কাজ হাতিয়ে নিয়ে আওয়ামীলীগের হাইব্রীড হয়ে অবৈধভাবে বিত্ত বৈভবের মালিক হওয়া। এরা সুকৌশলে বিএনপি’র বিভিন্ন নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করানোর দায়িত্ব নিয়ে একটি বিশাল নীল নকশা বাস্তবায়ন করার কাজ করছে। এদের যন্ত্রণায় উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগ সহ মহানগর পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ বিষয় নিয়ে জাহাঙ্গীর ও রিপনের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পিছনের ইতিহাস নিয়ে কোন কথা হবেনা। কথা হবে বর্তমান নিয়ে। আমাদেরকে নিয়ে নেগেটিভ কোন নিউজ হবেনা।

প্রয়োজনে চা খেতে আসলে আপনাদের বিষয়টি দেখবো। এখন চলে যান আগামী শুক্রবার ফোন করে আসবেন। এলাকার বিভিন্ন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, উত্তরখান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এখন জাহাঙ্গীর ও রিপন চালায়। এমন কোন জায়গা নেই যেখান থেকে তারা দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক মাসোয়ারা না খায়। তাদের সাথে আমরা কথা বলিনা। কারণ তাদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। এসব অনুপ্রবেশকারীদের কারণে উত্তরখান আওয়ামীলীগের স্বচ্ছ রাজনীতি এখন হুমকির মুখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিব হাসানের নিকট আমরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আকুল আবেদন জানাই এই অনুপ্রবেশকারীদের ডেকে যাচাই বাছাই করলে এবং এলাকায় খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসবে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এদেরকে বহিস্কার করলে উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগ সহ মহানগর আওয়ামীলীগ হবে কলঙ্কমুক্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানে কোন অনুপ্রবেশকারী হাইব্রীড নেতাকর্মীদের স্থান নেই। সকল তথ্য গোপনকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা আসবে আইনের আওতায় এমনটাই দাবী সবার। আগে সোনার বাংলা পরে অন্যসব।